হেলাঞ্চী আশ্রয় প্রকল্পে বাসিন্দা মসিরোন বিবি ভিক্ষা করে খাই,তাই ভিক্ষা করতে করতে ইয়াকুব আলীর ভোট চাইবো
লেখক:
Rakib hossain প্রকাশ: 1 year ago
তহিদুল ইসলাম :
যশোর মনিরামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস,এম ইয়াকুব আলী কে না দেখলেও তাকে ভালোবাসেন হেলাঞ্চি আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দা মসিরোন বিবি। মসিরোন বিবি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা আমাদের ঘর দিয়েছেন।আমি তাকে কখনো কাছে পেলে জড়িয়ে ধরে আদর করতাম।আমরা এখানে ৪৩ ঘর বসবাস করি।এর মধ্যে ১৩ ঘর মুসলিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা আমাদের ঘর দিয়েছেন।
আমাদের ঘর ছিলো না তুমার চাচা প্রতিবন্ধী, আমিও প্রতিবন্ধী,আমি ভিক্ষা করে খাই।আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বাড়ি এই এলাকায় না হওয়ায় আমরা সরকারি কোনো অনুদান পাই না।এখানের মেম্বাররা বলেন আগে ভোটার পাল্টে এই ওয়ার্ডের হতে হবে তার পর সরকারি অনুদান পাবে।আমাদের যাহারা ভোট দিয়ে পাস করিয়াছে তাদের কে দেওয়া হবে সরকারি চাউল সহ সরকারি সহতা। তোমাদের সরকার ঘর দিয়েছে তোমরা ঘর নিয়ে সন্তুষ্ট হও,এর থেকে বেশি সুবিধা চাইলে ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।আমারা শেখ হাসিনার দেওয়া ঘরে থাকি বলে,আমাদের কোরবানী ঈদে কেও এক টুকরো মাংশ দেইনি।আমি ভিক্ষা করে একটা পোল্ট্রি মুরগী ৩০৯ টাকা দিয়ে কিনে এনে খাইছি,বলতে বলতে কান্নাই ভেঙ্গে পড়লেন আশ্রয় প্রকল্পের প্রতিবন্ধী বাসিন্দা মসিরোন বিবি।তিনি বলেন গত রোজার ঈদে সাবেক মেম্বার সাধারণ কুমার আমাদের এখানে এসে জিগ্যেসা করছিল আমরা সেমাই চিনি কিছু পেয়েছি কি না।আমরা বলেছিলাম বাবা আমরা সেমাই চিনি পায়নাই আর কিছু চাইলে তো আমাদের এই ঘর থেকে নামিয়ে দিবে চেয়ারম্যান মেম্বারা।সাধন দাদা আমাদের তালিকা করে তিনি সেমায় চিনি দিয়েছিলেন। সাধন মেম্বার বলেছিল এই খাদ্য উৎপাদন পাঠিয়েছেন,আমাদের মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইয়াকুব আলী। বাবা আমি নামাজ পড়ে ঐই মানুষটার জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করেছি আল্লাহর কাছে।উনার মতো মানুষ না থাকলে আমরা হয়তো ঈদে সেমাইটাও খেতে পারতাম না।এসময় মসিরোন বিবির নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা তার নিকট জানতে চাইলে বলেন আপনি কখনো এস এম ইয়াকুব আলী কে দেখেছেন।
তিনি বলেন না বাবা আমি তাকে দেখিনি কখনো কিন্তু তাকে খুব ভালোবাসি।আমাদের সোয়েল আমাকে দেখায়ছিলো ফেইসবুকে, আমি দেখেছিলাম সোয়েলের ফোনে।দেখলাম তিনি গরীব অসহায় মানুষের জন্য কতো কিছু করছেন,এমন মানুষ আমি কোনোদিন দেখিনি।উনি যদি ভোটে দাড়ায় আমি গ্রামে ভিক্ষা করতে করতে তার ভোট চাইবো।