সুনামগঞ্জে হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদের মৃত্যু দন্ডাদেশ বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জে হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদের মৃত্যু দন্ডাদেশ বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে শহরের পৌরবিপনী মার্কেটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা ফয়েজ আহমদের স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া বসরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের ২১ জুলাই সুনামগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংগঠিত উক্ত খুনের ঘটনার সাথে আমার স্বামী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রাম নিবাসী মাওলানা ফয়েজ আহমদ ও তার ভাই মুফতি ইসরাইল আদৌ জড়িত ছিলেননা। বিজ্ঞ আদালত এলাকার ঐদিনকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ প্রত্যক্ষ করিলে এবং ঐদিনকার প্রত্যক্ষদর্শী বিজ্ঞ আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী ও বিচারপ্রার্থীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের ঘটনার সাথে আমার স্বামী মাওলানা ফয়েজ আহমদ ও মুফতি ইসরাইলের জড়িত না থাকার উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যাবে। তারপরও বাদীপক্ষ লন্ডনী টাকার গরমে আমার স্বামী নিরপরাধ হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদ ও তার ভাই ইসরাইলকে তাদের দায়েরকৃত মামলায় অন্যায়ভাবে আসামী করার পাশাপাশি হয়রানীমূলকভাবে অভিযোগপত্রে দোষী সাব্যস্ত করে। স্বল্প সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে আমার স্বামী মাওলানা ফয়েজ আহমদ এর মৃত্যদন্ড ও তার ভাই মুফতি ইসরাইলের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ হয়। আমরা বাদীপক্ষের প্রবল বাধা ও অমানবিক নির্যাতনের মুখে এবং আমাদের আর্থিক অভাব অনটনের কারণে আলোচিত মামলার রায়ে যুক্তিতর্ক,প্রমাণ উপস্থাপনের পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। যে কারণে প্রকৃত আসামীর পরিবর্তে একতরফাভাবে মাওলানা ফয়েজ আহমদকে মৃত্যু দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে রায়ের অবিকল নকলের জন্য আবেদন করেছি। উচ্চ আদালতে আপীল দায়েরের মাধ্যমে যেকোন মূল্যে আমরা প্রমাণ করবো উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে আমার স্বামী মাওলানা ফয়েজ আহমদ ও তার ভাই মুফতি ইসরাইল আলী মারজান আদৌ জড়িত ছিলেননা। সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ইসরাইল এর স্ত্রী নাজিরা ইসলাম ও মাওলানা ফয়েজ আহমদের শ্বশুড় মোঃ আবুল কালাম,শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়িব্যূর রহমান চৌধুরী,মাওলানা মহিবুর রহমান চৌধুরী,তাফহিজুল কোরআন পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি হাফিজ মাওলানা লোকমান আহমদ,সাধারণ সম্পাদক হাফিজ হেলাল আহমদ,ব্যবসায়ী মাওলানা হাফিজ তোয়াহা হোসেন,হাফিজ মাওলানা ওসমান গনী,মাওলানা রুকন উদ্দিন,মাওলানা আব্দুল হাই ও মাওলানা ছালিক আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য আদালত প্রাঙ্গনে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত খুনী এহসানুল করিম শাহানকে তাৎক্ষনিকভাবে আইনজীবী সহকারীরা আটক করে কোর্ট পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় উক্ত খুনি। পালিয়ে যাওয়া শাহানকে না পেয়ে উত্তেজিত বাদীপক্ষের লোকজন আদালতে আসা নিরপরাধ ফয়েজ আহমদসহ ৩ জনকে থানা পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

error: Content is protected !!