সুখী দম্পতিরা যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 1 year ago

ডেস্ক প্রতিবেদনঃ
পৃথিবীর শুরুটা হয়েছে পরিবার থেকেই। যে ব্যক্তি তার পারিবারিক জীবনে সুখী, বিশ্ব জয় করা তার জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়। অনেক ধরনের ছোট ছোট আচরণ বা কাজ দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিপক্কতা আসে, একটা সময়
বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাতে হয়।অনেককিছু মানিয়ে নিতে হয়, দিতে হয় অনেক ছাড়।
সুখী দম্পতিরা তাদের সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য
আসলে কোন বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলেন আর
কোনগুলো মেনে চলেন? এখানে এড়িয়ে চলা কথাটি ব্যবহারের কারণ অনেক সময় মানুষ নিজের
অজান্তেই অবচেতন মনে অনেক আচরণ করে
ফেলেন। একটি সম্পর্কের শুরুতে সুখী থাকা মানেই
যে সারাজীবন তা একইরকম থাকবে, এমনটা নাও
হতে পারে। তবে সুখী দম্পতিরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে
বদলে যান না, তারা পরস্পরকে সেই শুরুর
দিনগুলোর মতোই ভালোবাসেন।
যখন আপনি সম্পর্কে আছেন তখন এমন অনেক বিষয় আসতে পারে যেগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়তো কিছুটা সংকোচবোধ হতে পারে। সুখী দম্পতিরা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে যেকোন বিষয়ে নিঃসংকোচে কথা বলতে পারেন। যত জটিল বিষয় হোক না কেন তারা একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেন। পরস্পরের অনুভূতির ব্যাপারটা কখনোই এড়িয়ে যেতে চান না।
সুখী দম্পতিরা একজন আরেকজনের বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক কোনো শব্দ ব্যবহার করেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক দম্পতি রয়েছেন, যারা অনেক সময় একে অন্যকে নানা নেতিবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকেন। এটি একেবারেই কাম্য নয়। সুখী দম্পতিরা যখন তাদের সঙ্গী সম্পর্কে কারও সঙ্গে কথা বলেন, তখন তারা ইতিবাচক এবং সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন।
দু’জন মানুষের মতামত কখনোই একইরকম হবে না। তাই সংঘাত হতেই পারে। মতের অমিল হলেই যে সেই মানুষটি আপনার জন্য ভুল, এমন কিছু নয়। ঝগড়া কিংবা ভুল বোঝাবুঝি হলেও সুখী দম্পতিরা অবিশ্বাস করেন না বা দূরে সরে যান না। তারা ক্ষমা ও বিশ্বাস করতে জানেন। যে কারণে তাদের সুখী জীবন কাটানো সহজ হয়।
সব সম্পর্কই একটি চলমান বিষয়। সেখানে প্রয়োজন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। নিজেদের মধ্যে যে সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনের শুরুতে থাকে সেটাকেই দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করতে হয়। একে অন্যকে সময় দেবার বিভিন্ন রকমের উপায় আছে। সেগুলো উপেক্ষা করে যদি সারাদিন ইন্টারনেটে মগ্ন থাকা হয়, একজন আরেকজনকে গুরুত্ব দেওয়া না হয় তাহলে সম্পর্ক খুব বেশি মধুর হবে না। সুখী দম্পতি একে অন্যের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়। সব কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফেরে তখন একসঙ্গে রাতের খাবার খায়, একসঙ্গে বসে গল্প করে, সিনেমা দেখে। এভাবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।
সুখী দম্পতি প্রতিনিয়ত নিজেদের সম্পর্ককে কীভাবে আরও বেশি উন্নত করা যায় সেই চেষ্টা করেন। তাদের আচরণে এই ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন/নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪
error: Content is protected !!