আব্দুল কাদির জীবন, সিলেট:
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি, ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, সিলেট মোবাইল পাঠাগারের সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ইতিহাসের এক মাইলফলক।
ইতিমধ্যেই মোবাইল পাঠাগার দুই যুগ পার করেছে সাথে সাথে ৮শটি সাহিত্য আসর সম্পন্ন করে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চায় মোবাইল পাঠাগার এক বিরল ইতিহাস স্থাপন করেছে।
তিনি গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেট মোবাইল পাঠাগারের চেয়ারম্যান কবি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মোবাইল পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মদন মহন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল, লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম আতাউর রহমান পীর। মোবাইল পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক ও পাঠাগারের সাপ্তাহিক সাহিত্যপত্র ‘ছায়ালাপ’ সম্পাদক আবদুল কাদির জীবনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেটের ব্যুরো প্রধান গল্পকার সেলিম আউয়াল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের পরিচালক এবং কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের মুখপত্র ‘আল-ইসলাহ’ সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস,
সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ বাস্থবায়ন কমিটির আহবায়ক ও হলিসিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক কবি আমিনুল ইসলাম, কবি ও গবেষক সরওয়ার ফারুকী, নলেজ হারবার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবি নাজমুল আনসারী,
কবি ও অধ্যক্ষ চেনোয়ারা আক্তার চিনু, কবি এখলাসুর রহমান, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট ব্যুরো চিফ এমজেএইচ জামিল, ভ্রমণকাহিনী লেখক ও সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের সবেক সভাপতি মোয়াজ আফসার, পাপড়ি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও ছড়াকার কামরুল আলম, দোয়াশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী, সাংবাদিক লুৎফুর রহমান তোফায়েল।
সংবাদকর্মী ইশা তালুকদারের পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কুরআন তেলাওয়াত ও শিল্পী শেখ মু. ওয়ালী উল্লাহ-এর দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ বাস্থবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ স্মারকের সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, কবি ও কলামিস্ট সৈয়দ আছলাম হোসেন, লামা টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, ঔপন্যাসিক আলেয়া রহমান, শিক্ষক সৈয়দ রেজাউল হক, আরটিভি সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শহীদ নুর আহমদ, সিলেটস্থ শান্তিগঞ্জ সমিতি সিলেটের সদস্য সাইদুল ইসলাম সাইদ, কবি সুফি আকবর, কবি ও সংগঠক রিপন মিয়া, সাংবাদিক আব্দুল মুহিত দিদার।
সিলেট মোবাইল পাঠাগার ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের কাছ থেকে তাদের পুরস্কার গ্রহণ করে অনুভূতি প্রকাশ করেন। পুরস্কারপ্রপ্তরা হলেন-ছড়ায়-দেলোয়ার হোসেন দিলু, কবির আশরাফ, আতাউর রহমান বঙ্গী ও আবদুল কাদির জীবন। কবিতায়-সিরাজুল হক, কামাল আহমদ, গাজী আবদুল কুদ্দুস শমসাদ, আজমল আহমদ ও নাঈমুল ইসলাম গুলজার। গল্পে-মিনহাজ ফয়সল ও জেনারুল ইসলাম। প্রবন্ধে- ছয়ফুল আলম পারুল, সোনিয়া কাদির (পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন আদিয়ান জাবেদ) , শামসীর হারুনুর রশিদ ও জুঁই ইসলাম এবং গানে মো. আবদুল মতিন, মাজহারুল ইসলাম মেনন, বাহা উদ্দিন বাহার ও তাসনিম যায়েদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জাফরান, মোঃ আব্দুল হান্নান, গীতিকার সামির আহমদ, গীতিকার সাজিদুর রহমান, শাহী সিদ্দিক শান, রোমান মাহফুজ, জুনায়েদ, আশিক মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, তাহমিনা ফেরদৌস চৌধুরী, রাহেলা লাকী, সাহিত্যকর্মী জোবায়দা বেগম আঁখি, রোমান আহমদ, তুহফা আক্তার মাসুমা, সোহেল আহমদ প্রমুখ।
সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ স্মারক মোড়ক উন্মোচন করে সবার হাতে হাতে বিতরণ করা হয়। তাছাড়া সিলেট মোবাইল পাঠাগারের জীবন সদস্যদের কার্ড অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাসউদ খান কবি কামাল আহমদের (জীবন সদস্য ২) হাতে তুলে দিয়ে উদ্ভোধন করেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এম আতাউর রহমান পীর বলেন, পাঠাগার মানুষের মনের ক্ষুধা নিবারণ করে। আজ থেকে দুই যুগ আগে প্রধানত মহিলা ও শিশুদের জন্য ঘরেঘরে বই পৌঁছে নিয়ে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে মোবাইল পাঠাগারের জন্ম। পরবর্তীতে নতুন লেখকদের সহযোগিতার দিকটির প্রতিও আমরা মনযোগী হই। ইতিহাসবেত্তা মনির উদ্দীন চৌধুরী স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের। আমরা আপনাদের সহযোগিতায় তার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার পক্রিয়া নবী এবং পয়গাম্বরের যুগেও ছিলো (প্রাচীনযুগ, মধ্যযুগ, আধুনিকযুগ ও উপনিবেশ যুগ)। যুগ পরিক্রমায় সেই ধারাবাহিকতায় মোবাইল পাঠাগার চলমান। তিনি আরও বলেন, পুরস্কার ও সম্মাননা ব্যক্তির কাজকে গতিশীল করে। মোবাইল পাঠাগারের ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ সিলেটের সাহিত্য সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।