সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় অপহরণের ছয় দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুড়ঝুড়ি বাজারে তালুকদার মার্কেটের পাশ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয় বলে জানান র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন।
নিহত মারুফ হাসান (১২) উপজেলার ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। সে সলঙ্গার একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের প্রয়াত তফের আলীর ছেলে আবুল হাশেম ওরফে হাসু (৪৮), একই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), নজরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২২), রফিক হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (২২) এবং সাইদুর রহমানের ছেলে কাওছার হোসেন (১৯)।দুপুরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে মারুফ হাসান মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে। ৫ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে সে ঝুড়ঝুড়ি বাজারে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়।
ওইদিন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন তাড়াশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রযুক্তির সহায়তায় মারুফকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন।তিনি বলেন, র্যাব সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে তিনজনকে আটক করেন। আটকদের দেওয়া তথ্যে ঈদের দিন ভোরে তালুকদার মার্কেটের পেছনে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা মারুফকে অপহরণের পর দাবি করা মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা না পেয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মারুফ হোসেন।