সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি এবাদ আলী প্রত্যাহার

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 1 year ago

অনলাইন ডেস্কঃ

বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবাদ আলীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তাকে প্রত্যাহার করা হয়।তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তের বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) আমিনুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, মামলার আসামিদের থানায় ধরে নিয়ে মারধর ও রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি, ধর্ষণকারীর পক্ষে সাফাই, ধরপাকড়ের নামে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তদন্ত ওসি এবাদ আলীর বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, গত ১১ অক্টোবর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের আলীম মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় উপ-পরিদর্শক খলিলুর রহমান। রুবেলের বিরুদ্ধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার আপন দাদা গোলাম আলী। দাদার দায়ের করা মামলায় আটক রুবেলকে তদন্ত ওসির রুমে দরজা বন্ধ করে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তার পরিবারের কাছে এবাদ আলী ও খলিলুর রহমান ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে রুবেলকে এমন ভয় দেখানো হয় তার স্বজনদের। নিরুপায় হয়ে মারধর ও রিমান্ড বন্ধ করতে রুবেলর পিতা তাদের নিকট আত্মীয় আব্দুর রশিদকে দিয়ে ১৫ হাজার টাকা খলিলুর রহমানের কাছে পৌঁছে দেন।
নির্যাতনের স্বীকার রুবেল ও তার পিতা আলীম মোল্লা এই প্রতিবেদকের কাছে নির্মম নির্যাতন করে টাকা আদায়ের বিষয়টি জানান।
তদন্ত ওসি এবাদ আলী ও উপ-পরিদর্শক খলিলুর রহমানের উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানান তারা।এছাড়া গত ১৮ অক্টোবর ধলবাড়ি ইউনিয়নের হারদ্দা গ্রামের সবুর গাজীর স্ত্রী সুমি পারভীন (২১) শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক (গ্যাস টেবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করে। এঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন নিহত সুমির পিতা বসন্তপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন। নিহতের স্বামীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় মামলা নিতে অস্বীকার করেন তদন্ত ওসি এবাদ আলী।পরবর্তীতে বাদী বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমানকে অবগত করলে ২২ নভেম্বর তিনি থানায় আত্মহত্যা প্ররচণা মামলা গ্রহণ করেন। রুবেল হোসেনকে থানায় মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার বিষয়টি উপ-পরিদর্শক খলিল হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) এবাদ আলী অস্বীকার করেন। এছাড়া সুমির আত্নহত্যার প্ররোচনা মামলার বিষয়ে কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান।

এম,এম,হোসেন/নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ 

error: Content is protected !!