যশোর সদর উপজেলা সতীঘাটা ভগবতীপুর গ্রামের বড় ভাই মৃতঃ রুস্তম আলী বিশ্বাস’র এয়াজ বদল জমিতে ছোট ভাই ছাদেক অভিনব কায়দায় গাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে ।
২৪ জুলাই বুধবার সকালে এয়াজ বদল করা জমিতে গাছ রোপনের এই দৃশ্য দেখা মেলে। সূত্রে জানা যায়, সতীঘাটা ভগবতীপুর গ্রামে মৃত মুনছুর আলী বিশ্বাসের বড় ছেলে মৃত রুস্তম আলী, বিশ্বাস এবং ছোট ছেলে সাদেক বিশ্বাস ১০০ গজ মধ্যে এরা দুই ভাই দুই জায়গায় বসবাস করে আসছেন বড় ভাই ১১ শতক ছোট ভাইয়ের ১১ শতকে। এই এয়াজ বদল জমির ঘটনা মৃত রুস্তম আলীর পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা প্রায় ১১ বছর এই জমিতে বসবাস করে আসছি এবং খাজনা ও দিচ্ছি । এখন ছোট ভাই সাদেক বিশ্বাস আমার এই বসবাসরত ১১ শতকের ভিতরে আমিন দ্বারাই মেপে জোরপূর্বক সীমানা নির্ধারণ করে । মৃত রুস্তম আলী বিশ্বাসের পরিবার আরও বলেন, ১১ বছর আগে এই জমিগুলো এয়াজ বদল করা হয়েছিল সেই জমিগুলো কোথায়। আমার জমিতে যখন আপনি খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করছেন। আমি তো আপনার বসতবাড়ির জমিতে ৩ শতকের অধিক জমি পাবো তাহলে আমার প্রাপ্য জমি আমাকে বুঝিয়ে দিবেন। তারপর এই জমির সীমানায় গাছ রোপন করবেন।
এই ঘটনার বিষয় দুই পরিবারের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। এদিকে সাদেক আলী বিশ্বাস সেই ১১ বছরের এয়াজ বদল জমি নিয়ে স্থানীয় আদালত এবং থানায় অভিযোগ ও বিচার পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু বড় ভাইয়ের পরিবারবর্গ বলছেন এই এয়াজ বদলে জমি আগে যেভাবে ছিল এখন সেভাবে যার যে জায়গায় ভোগ দখল করে আছেন সেই জায়গায় বসবাস করেন। আপনি যদি মুনছুর আলীর সন্তান হন আমিও তার সন্তান। তবে এই জায়গা জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে চলেছে। এই জমি নিয়ে এখন দুই পরিবারের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা। তবে এলাকাবাসী জানান এই জায়গায় জমি নিয়ে ২ পরিবারের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করছে এবং ঐ অসাধু ব্যক্তিরা এই ২ পরিবারকে সঠিক সমাধান না করে দিয়ে তারা তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানান।
এ ঘটনার বিষয় এলাকাবাসী শান্তির লক্ষ্যে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।