শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেয়াদত্তীর্ণ সরকারি ঔষুধের তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগ

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 1 year ago

শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেয়াদত্তীর্ণ সরকারি ঔষুধের তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগ

মোঃ এমদাদ হোসেন, মাগুরা প্রতিনিধিঃ

সরকারি হাসপাতালে সাড়ি সাড়ি সাজানো মুল্যবান অর্ধ লক্ষ টাকার সরকারি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সেই সাকমো সাইদুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে ১২ এপ্রিলে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ রাখার খবর প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর ১৬ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ডাঃ আশরাফুজ্জামান লিটনের গঠিত একটি ৩ সদস্যের তদন্ত টিম সরেজমিনে এসে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের তালিকা তৈরি করে।
সেই সুত্র ধরেই ১৫ মে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি তদন্তটিম পাঠায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিন সদস্যের গঠিত ওই টিমে রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম গাজীকে সহকারী পরিচালক ও সভাপতি করে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু করা হয়।

উল্লেখ্য উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কর্তব্যরত এসএসিএমো (সাকমো) সাইদুর রহমান (তুহিন) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্ধ লক্ষ্য টাকার সরকারি ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ করে স্টোরে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে। সেই সাথে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রেসক্রিপশনে সরকারি ওষুধে না লিখে ঔষুধ বেসরকারি প্রাইভেট কোম্পানির ঔষুধ লিখে। এবং শিশুদের জন্য সর্দি কাশির মেডিসিন হাসপাতালে থাকলেও সরবরাহ না করার অভিযোগ তুলে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীরা।
বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরেক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী খসরুর আলমকে ৩০ মার্চ থেকে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে সাময়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য পাঠানো হয়। মেয়াদোত্তীর্ন এসব মেডিসিনের দায় এড়িয়ে যান তিনি। তিনি জানান ওষুধ গুলো বছর দুয়েক আগে এখানে সাপ্লাই করা। আমার পূর্বে যিনি এখানে দ্বায়িত্বে ছিলেন তিনি এই বিষয়ে ভালো জানেন। আমি দ্বায়িত্বে আসার পরই মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধের বেপারে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাইদুর রহমান মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তাকে ফাসানোর চক্রান্ত ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন। এ ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্তের দায়ভার দেয় বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপর।

error: Content is protected !!