লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাধীন বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা’র বিরুদ্ধে প্রায় ১০-১৫লক্ষ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মাসাতের অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক স্বাক্ষরকৃত স্মারক নং-৩৭.০২.৮৫০০.০০০.০৮.০০.২১.৪৯৫ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় কেন তার এমপিও বেতন-ভাতা বন্ধ করা হবে না মর্মে শোকজ করা হয়েছিল।
তার জবাব সন্তুষ্ট জনক না হওয়ায় ওই প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছিলো বলে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় টি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১৯ সালে ৪তলা আইসিটি ভবনের বরাদ্দ পায় বিদ্যালয়টি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয় পূর্বের ভবন ওয়াকশনে না দিয়ে সেটি আত্মসাৎ করেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা।
তিনি বিদ্যালয় পুরনো বিল্ডিংয়ের ওয়াকশনে না দিয়ে অফিস কক্ষের ২রুম ও ক্লাসরুমের ৬টি কক্ষ ভেঙ্গে পুরাতন ইট, গুড়া বালু, টিন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিজের বাড়ির দেয়াল ও গোডাউনের কাজে লাগান এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে প্রায় ১০লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন এলাকাবাসী আরো জানান, পরিতক্ত জিনিসপত্র নিলাম বা ওয়াকশনে নিলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং সরকার এর ১০লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হতো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি কোন প্রকার নিলাম বা ওয়াকশন না দিয়ে গোপনে উক্ত মালামাল গুলো বিক্রয় ও নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে ও বিক্রয়কৃত টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা প্রদান না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন। শুধুমাত্র তাই নয় প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে রাতারাতি মনগড়া স্কুল কমিটি গঠন করে এবং সেই কমিটি দ্বারা নিয়োগ বাণিজ্যসহ রাতারাতি কতিপয় লোকের সহযোগীতায় রাস্তার গাছ কাটে যার আনুমানিক মূল্য ৫লক্ষ টাকা। ওই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ায় একক ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠানের গাছ আরো কয়েক ধাপে কেটে আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লার বক্তব্য জানা যায়নি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালকের কার্যালয় জানান, অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। তার জবাব সন্তুষ্ট জবাব না হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্তা প্রক্রিয়াধীন জন্যে মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে, ১বছর পেড়িয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।