যশোরে মণিরামপুর ককটেল বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত, ৯ টি ককটেল সদৃশ উদ্ধার

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 9 months ago

মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের মণিরামপুরে ককটেল  বিস্ফোরণে দুই শিশু গুরুত্বর আহত ৯ টি ককটেল সদৃশ উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিশু ওই গ্রামের আসলাম হোসেনের ছেলে আরজু (১০) ও রাকিবুল ইসলাম বাবলুর ছেলে মাইমুন মেহেদী (৪)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পুলিশ পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৯টি বোমা উদ্ধার করেছে।
ওসি মেহেদী মাসুদ দৈনিক কল্যাণকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়টি। উপস্থিত কাউকে আটক করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ফতেয়াবাদ গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধাপাকা পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। ওহিদুল সেই ভিটায় থাকেন না। প্রতিবেশী আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখার কাজে ঘরটি ব্যবহার করেন। আজ দুপুরে আসলাম হোসেনের স্ত্রী
ফাতেমা বেগম নিজের ছেলে আরজু ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলে মেহেদীকে নিয়ে সেই ঘরের ভিতর জ্বালানি হিসাবে মেহগনি গাছের শুকনা পাতা রাখার জন্য মশারী টাঙ্গাতে যান। তখন আরজু ও মেহেদী ঘরের ভিতর ঢুকে লাল কসটেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পায়। আরজু ও মেহেদী বস্তুটি নিয়ে খেলার উদ্দেশে নাড়াচাড়া করলে তখন বস্তুটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরজুর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাইমুন মেহেদীর নাভী হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষত বিক্ষত হয়।
এদিকে বিকট শব্দ শুনে স্বজনরা এগিয়ে এসে আহত দুই শিশুকে উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক দুই শিশুকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ফতেয়াবাদ গ্রামটি জামাত-বিএনপির অধ্যুষিত এলাকা। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশে ককটেলগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অনুপ বসু বলেন, স্বজনরা আমাদের কাছে বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেননি। তাঁরা বলেছেন, চার্জার ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে দুই শিশু আহত হয়েছে। অনুপ বসু আরও বলেন, আহত শিশু আরজুর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর মাইমুন মেহেদীর নাভী হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় দুই শিশুকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
error: Content is protected !!