যশোরে প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগননা করার ঘোষনা

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 5 months ago

স্টাফ রিপোর্টার:

পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়িত দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১২টায় যশোর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

যশোর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক উর্ব্বশী গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।

এ সময় তিনি বলেন, প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে যশোরের শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সটিক চিত্র উছে এসেছে। মানুষের মধ্যে উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল এই জনশুমারি তথ্যের মাধ্যমে তা দূর হবে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগুণনার তথ্য মতে যশোর জেলার মোট গণনাকৃত জনসংখ্যা ৩০,৭৬,১৪৪ জন যার মধ্যে পুরুষ ১৫,২৪,৩৪৯ জন এবং নারী ১৫,৫১,৬৬৭ জন। ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে যশোরের মোট জনসংখ্যার ৮৯.৬২% মুসলিম, ১০.১৯% হিন্দু, ০.০১% বৌদ্ধ, ০.১৭% খ্রিস্টান ও ০.০১% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। যশোর জেলার গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ০.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা ২০১১ সালে ছিল ১.১১ শতাংশ। যশোর জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১৮০ জন। যশোর জেলার মোট খানার সংখ্যা ৭,৯৮,০৩২ যার মধ্যে ৬,১৩,০৪৮ টি পল্লী এলাকায় ও ১,৮৪,৯৮৪ টি শহর এলাকায় অবস্থিত। যশোর জেলায় বর্তমানে খানার গড় আকার ৩.৭৯ যা ১৯৯১ সালে ছিল ৫.৫০ এবং ২০১১ সালে ছিল ৪.১৭।

অপরদিকে, যশোর জেলায় বর্তমানে বাসগৃহের সংখ্যা ৭,৫০,২১০ যার মধ্যে ৬,০৬,৬৫০ টি পল্লি এলাকায় ও ১,৪৩,৫৬০ টি শহর এলাকায় অবস্থিত।

যশোর জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭.০৭ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৭৯.৬৭% ও ৭৪.৫৪%। যশোর জেলায় ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজে নিয়োজিত ৩৮.৩৮%, গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত ৩৪.৪৯%, বর্তমানে কাজ খুঁজছে ১.৩১% এবং ২৫.৮২% কোনো কাজ করছে না। অপরদিকে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৮.৩৫ শতাংশের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৩৩.৮২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

যশোর জেলার অধিকাংশ খানা (৯৭.৫২%) খাবার পানির উৎস হিসেবে গভীর/অগভীর টিউবওয়েল এর পানি ব্যবহার করে। এছাড়া ২.১৫ শতাংশের খাবার পানির উৎস ট্যাপ/পাইপ (সাপ্লাই)। যশোর জেলায় ৬৫.৬২% খানা টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করে/পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, এস এম শাহীন, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক হারুন অর রশিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নীলা প্রিয়া ময়ূরসহ যশোরের বিভিন্ন দপ্তর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এম ওয়াজেদ আলী/ নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪

error: Content is protected !!