বিশেষ প্রতিনিধি:
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের হাটগাছা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্য মন্ডল ও বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মল্লিকের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ শে মার্চ) আনুমানিক দুপুর একটায় ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিরোধের জের ধরে বীরমুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্য মন্ডল ও বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মল্লিককে গলার নীল টেনে ছিড়ে ফেলতে উদ্ধত হলে উক্ত ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ প্রভাত মন্ডল সহ স্থানীয় জনগণ মুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্য মন্ড লকে শান্ত করেন।
এ বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক বলেন, অভিমুন্য মন্ডল হিংস্র প্রকৃতির লোক।আপাততঃ শান্ত মনে হলেও ঘটনার জের অনেক দূর গড়াতে পারে এবং কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, উপজেলার হাটগাছা মৌজায় জমির সীমানা বিরোধ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক যশোর জজকোর্টে দেওয়ানিমামলা করেন যার নং -৬০/১৮। মামলা চলাকালীন সময় মুক্তিযুদ্ধা অভিমুন্য মন্ডলের ছেলে শ্যামল মন্ডল,রমেশ মন্ডল কিছু লোক নিয়ে বিরোধ চলা জমির মরা খেজুর গাছ কাটতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক বাঁধা দিলে মুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্যের ছেলে শ্যামল ও রমেশ প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক খেজুর গাছ কেটে নেয়।এরপর নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক বিষয়টি নিয়ে যশোর পুলিশ কোর্টে কেস করলে বিচারের জন্য কুলটিয়া ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে হস্তান্তর করে। গ্রাম আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বাইরে আসলে মুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্য বাইরে এসে মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ চন্দ্র মল্লিকের গলার নীল টেনে ছিড়ে ফেলার জন্য উদ্ধত হয়।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা অভিমুন্যর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে প্রতিনিধি একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।