যশোর বোর্ডে পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে

লেখক: স্বীকৃতি বিশ্বাস
প্রকাশ: 1 month ago

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

আজ মঙ্গলবার (১৫ ই অক্টোবর) সারাদেশের ন্যায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় গত চার বছরের মধ্যে এবার পাশের হার সর্বনিম্ন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
এ বছর পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।গত বছর ২০২৩ সালে পাশের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭শ’ ৪৯ শিক্ষার্থী এবং গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ১২২ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পায় ১৮ হাজার ৭০৩ শিক্ষার্থী। এর আগের বছর ২০২১ সালে পাশের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ শিক্ষার্থী।

যশোর বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩টি কলেজ থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ১০০ শতাংশই পাশ করেছে। কলেজগুলো হলো ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর মহিলা কলেজ, একই উপজেলার এস এম হাবিবুর রহমান পৌর কলেজ, নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ, যশোরের কেশবপুর উপজেলার তিতা বাজিতপুর এম কে বি মহিলা কলেজ, একই জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনার কয়রার হাড্ডা পাবলিক কলেজ, একই জেলার সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ, একই জেলার গোবরদাড়ি জরদিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়ূয়া ইউসুফ খান স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনার খালিশপুরের নেভি স্কুল এন্ড কলেজে এবং কুষ্টিয়ার সুনুপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ।

যশোর বোর্ড থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একজনও পাশ করেনি এমন কলেজের সংখ্যা সাতটি। যদিও এ সাতটি কলেজ থেকে মাত্র ১৮ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কলেজ সাতটি হলো মেহেরপুরের গাংনি উপজেলার মড়কা জাগরণ কলেজ, খুলনার ডুমুরিয়ার মডেল মহিলা কলেজ, একই জেলার তেরখাদার শাপলা কলেজ, সাতক্ষীরা জেলার আখরাখোলা আইডিয়াল কলেজ, মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার গোপিনাথপুর এম. এ. খালেক স্কুল এন্ড কলেজ, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নেঙ্গুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এবং ঝিনাইদহের নাজিরউদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২০-২১ সালে করোনাকালে প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়টাতে ইংরেজিতে একটু লার্নিং গ্যাপ রয়ে গিয়েছে। যার ফলে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে।

error: Content is protected !!