মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে চুরি  মীমাংসার চেষ্টা 

লেখক: হুমায়ুন কবির
প্রকাশ: 1 month ago

হুমায়ুন কবির,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের মূল্যবান তামার তার চুরির ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষ  অভিযোগ দিলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ।
২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক ৮.৩০ টা দিকে মিলের কারখানার পিছনে ইটিপি সংযোগের তার চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা। চুরি ঘটনায় ২৮ অক্টোবর মিলের বস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে জুনিয়র অফিসার (নিরাপত্তা) মো. মতিয়ার রহমান কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে  দুস্কৃতকারীদের নাম উল্লেখ করা হলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছে, এর আগে মিলে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। এসব চুরির সাথে মিলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় চোর চক্রের সদস্যরা জড়িত রয়েছে।
সর্বশেষ তামার তার চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি মহল প্রভাব বিস্তার এবং মধ্যস্থতায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা। সক্রিয় একটি চোর চক্র মিলের অসাধু নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তামার তার চুরির ঘটনা ঘটালেও,  থানায় করা অভিযোগে ওই সময় মিলে দায়িত্বরত ঐ স্থানের কোনো  নিরাপত্তা কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় নি।কালীগঞ্জ থানায় করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাত ৮.৩০ মিনিটে  মিলের কারখানার পিছনে ইটিপি সংযোগের মূল্যবান তার চুরি হয়।
চুরির পরের দিন শহরের যশোর সড়কস্থ্য বৈশাখী তেল পাম্প মোড়ের রুমা হোটেল সংলগ্ন আবদুল্লাহর ভাংড়ি মালামাল ক্রয় ও বিক্রয় দোকানের কর্মচারী আব্দুল মালেক স্বীকার করে যে, মিল সংলগ্ন বলিদাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম ৩৭ কেজি মূল্যবান তামার তার বিক্রি করে গেছে। একই গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মো. রাশেদ তার চুরির সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। মিল কর্তৃপক্ষ মালামালগুলো উদ্ধার করে বর্তমানে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
বাকি তার উদ্ধার ও তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে চোররা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত হবেন বলেও
মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জুনিয়র অফিসার (নিরাপত্তা) মো. মতিয়ার রহমান জানান, চুরির ঘটনার পর আমরা খোজ খবর নিয়ে ৩৭ কেজি তার উদ্ধার করি। এরপর সুনির্দিষ্টভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ এখনো উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি। আমরা অভিযুক্তদের আটক ও বাকি তার উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
error: Content is protected !!