কুরবানী
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
একদা গভীর রাতে স্বপ্ন দেখলেন প্রিয় নবী ইব্রাহীম,
প্রিয় বস্তুটি কুরবানী করো হে নবী মোর ইব্রাহীম।
প্রভুর সন্তুষ্ট করতে মরিয়া হলেন নবী ইব্রাহীম,
একে একে দুই শত উট কুরানী করলেন নবী ইব্রাহীম।
এভাবে একে একে তিনবার মহা পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন নবী ইব্রাহীম,
বাকী রইলো শুধু প্রিয় পুত্র ইসমাইল।
নবী এবার বুঝতে পারলেন কুরবান করতে হবে শিশু ইসমাইলকে,
এবার নবী” বিবি হাজেরার অনুমতিক্রমে নিয়ে ছুটলেন ইসমাইলকে।
আল্লাহুর নির্দেশে ইসমাইল আর বিবি হাজেরার আর কোনো প্রশ্ন নেই,
ইসমাইল বললেন প্রস্তুত আমার মস্তক হে পিতা আমার কোনো বাধা নেই।
নবী ইব্রাহীম ইসমাইলকে নিয়ে ছুটলেন মিনা ময়দান,
শয়তানের শত প্রলোভনেও ইসমাইল দিলেন না কান।
ইব্রাহীম কুরবানী দিতে চালালো ছুরি পুত্রের গর্দানে,
আল্লাহুর হুকুমে পুত্রের বদলে কুরবানী হলো বেহেস্তী এক পশু:
ধর্য্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে আল্লাহু নিজেই পাঠালেন বেহেস্তী এক পশু ঐ মিনা ময়দানে।
সেই দিন যদি আল্লাহর হুকুমে কুরবানী হতো ইব্রাহীম পুত্র ইসমালের জান,
তাহলে প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্বে আমাদের দিতে হতো স্বীয় একটি করে প্রান।
সেই হতে আমরা আল্লাহর সন্তষ্টে প্রতি বছর করি একটি করে কুরবান,
ধন্য ইব্রাহীম, ধন্য ইসমাইল, ধন্য সেই আমাদের প্রভু আল্লাহ মহান।