মাগুরায় সাংবাদিক শিমুল রানা ও তার মায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা, নিন্দার ঝড় সাংবাদিকদের
মোঃ এমদাদ মাগুরা প্রতিনিধিঃ
আজ ১৬ই মে ২০২৩ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে সাংবাদিক এস এম শিমুল রানা (২৮) ও তার মা সামছুন্নাহার (৫০) ভাই মোঃ সজিব (১৯) বোন রেশমা বেগম (৩৮) এর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
জানা যায়, মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সাংবাদিক এস এম শিমুল রানা ও তার মা এবং ভাই-বোন তাদের নানাবাড়ি চাঁদপুরে তার বৃদ্ধা নানীকে দেখতে যান, তার মায়ের সঙ্গে তার মামাদের পৈত্রিক জমাজমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল, এরই সূত্র ধরে তার মামা শাহাদাৎ বিশ্বাস ও দুই ছেলে মিরাজ বিশ্বাস এবং রিয়াজ বিশ্বাস, ও তাদের দলগত সন্ত্রাসী মুন্নাফ বিশ্বাস এবং রাজেক বিশ্বাস দলবদ্ধভাবে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রদিয়ে হামলা করে। সাংবাদিক শিমুল রানা জানিয়েছেন তাদের ওপরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হলে তিনি তাদেরকে খালি হাতে প্রতিহত করতে যান, তখন সন্ত্রাসীগণ দলবদ্ধভাবে তাকে উপর্যপরি আঘাত করতে থাকে এটা দেখে তার মা তাকে রক্ষার জন্য ছুটে গেলে তাকেও অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সাংবাদিক শিমুল রানার মা মারা গেছে মনে করে সন্ত্রাসী বাহিনী ঐ স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় জরুরী সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে মাগুরা সদর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
হামলায় সাংবাদিক এস এম শিমুল রানার মায়ের বাম পায়ের হাড় ভেঙে তিন খন্ড হয়েছে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হয় এবং ছয়টি সেলাই লেগেছে, তিনি এখন আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ট্রিপল নাইনে কল পেয়ে তৎক্ষণাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার পূর্বক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিক শিমুল রানা জানিয়েছেন চিকিৎসার জন্য থানাতে যেতে পারেননি, চিকিৎসা শেষে তারা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন।
এ বিষয়ে মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং দোষীদের দ্রুতসময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে