মণিরামপুরে ‘ভাইরাস’ ব্যবসায়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 10 months ago
Exif_JPEG_420

মোঃ এমদাদুল হক :

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  নারী, পুরুষ ও কিশোরদের উপার্জনের মাধ্যম এখন রেইনট্রি গাছের ‘ভাইরাস’। প্রতিদিন তারা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পযর্ন্ত গাছ থেকে ভাইরাস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে এই কাজে জড়িতরা
ভোর হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর সাদা বর্ণের ভেতর লালচে রঙের ভাইরাসযুক্ত ডালের সন্ধান করেন। যে গাছের ডাল সংক্রমীত বেশী, সেই ডাল ততো বেশি দামে গাছের মালিকের কাছ থেকে কেনেন তারা। ভাইরাসযুক্ত গাছের ডাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর পিকআপ অথবা ভ্যানে করে চলে যাচ্ছে পাইকারি আড়তে। এই এলাকার বেকার যুবকরাও এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। প্রথমে সংক্রমিত গাছের ডাল দর কষাকষির মাধ্যমে গাছের মালিকের সাথে দাম ঠিক করে নেয়া হয়। পরে গাছ থেকে ডাল কেটে বাসায় এনে ডাল থেকে ভাইরাস ছাড়ানো হয়।
ভাইরাস ছাড়ানোর পরে ওই ডাল বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিক্রির উপযোগী হলে বস্তায় করে নওপাড়া বাজারে নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত বিক্রি করা হয়।এই ব্যবসার সাথে জড়িত আলামিন হোসেন বাচ্চু। সেকেন্দার আলী। সহ অনেকেই জানান, ঢাকুরিয়া, তারুয়া পাড়া , ভবানীপুর, চাঁনদুয়া, বারপাড়া, বোয়ালিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানের (রেইনট্রি) গাছ দেখে আসি। যেসব গাছে ভাইরাস হয়েছে সেগুলো থেকে সংক্রমিত ডাল কেটে ভ্যানে করে বাড়িতে এনে ভাইরাস ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাই। শুরুর দিকে এই ভাইরাস ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হলেও দাম কমেছে এখন।এই ভাইরাস কী কাজে ব্যবহার হয় এমন প্রশ্নের জবাবে একজন আড়ত ব্যবসায়ী বলেন, আমরাও সঠিক জানি না। তবে লোকমুখে শুনেছি এটা দিয়ে আসবাবপত্রে রং করার কাজে উন্নতমানের আঠা বা গালা তৈরি করা হয়ে থাকে।
আজকের সংবাদশিরোনামসারাদেশ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নড়াইলে নবাগত জেলা প্রশাসক আশফাকুল হকের  দায়িত্ব ভার গ্রহণ। সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আনুষ্ঠানিক ভাবে নবগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এসময় বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাকে দায়িত্বভার বুঝে দেন। ৩-এপ্রিল( এপ্রিল) সোমবার দুপুরে নড়াইল জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক কে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম আলমগীর,সহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী তিনি  সিলেটের  গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২৪ তম বিসিএস (প্রশাসন ক্যাডারে) নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর পরপরই তিনি চাকুরি জীবনে তিনি হবিগঞ্জ সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাপানের টোকিওতে অবস্থিত মেইজি বিশ্ববিদ্যালয় হতে গভর্নেন্স স্টাডিজের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা। পরে ১২ মার্চ সরকারের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরীকে নড়াইল জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ হয়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে উপ সচিব মোঃ আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের উপ-সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত ২ বছর ধরে সুনামের সাথে নড়াইলের জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন
2 years ago
error: Content is protected !!