ইমরান হোসেন, মণিরামপুর (পৌর) প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথিবীতে বাংলাসহ প্রতিটি ভাষা তার বিচিত্র স্বাতন্ত্র্য নিয়ে বেঁচে থাকুক ও বিকশিত হোক এই প্রত্যাশা নিয়ে দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি’র প্রথম প্রহর সকাল ০৭:৩০ সময় দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনারের বেদিতে ভাষাশহিদদের অমর স্মৃতির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,নীহার রঞ্জন রায়, বিশেষ অতিথি, সেলিম রেজা, সহকারী প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুন সহ সকল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
বাঙালী ও বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে আত্ম-অন্বেষায় যে চেতনার উন্মেষ ঘটে তারই পরিক্রমায় পূর্ব বঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর- ডিসেম্বর মাসে ভাষা বিক্ষোভ শুরু হয়।১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে সীমিত আকারে আন্দোলন শুরু হয় এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী তার চরম বর্হিপ্রকাশ ঘটে।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বাংলা ভাষায় কথা বলা ও সাহিত্য রচনাকারী এবং সর্ব সাধারণ জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারী।এই দিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও একান্ত পরিচিত।
বাংলাদেশীদের কাছে মর্মান্তিকও মহিমান্বিত দুঃখ স্মৃতি বিজড়িত একটি দিন হিসাবেও চিহ্নিত হয়ে আছে।
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ( বাংলা১৩৫৮ সালের ০৮ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পাকিস্তানি পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে কয়েকজন ভাষাপ্রেমী তরুণ শহীদ হন এবং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রফিক, সালাম,জব্বার, শফিউল, বরকতসহ নাম না জানা অনেকেই। মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তাই মাতৃবন্দনারই নামান্তর। আর বুকের তাজা রক্ত ঢেলে মাতৃভাষার প্রতি মৌলিক শ্রদ্ধার স্বাক্ষর রাখার গৌরবের অধিকারী হয়েছে কেবল বাঙালী জাতি।
বাংলাদেশের সমগ্র জনগণ এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসাবে পালন করে থাকে।
পরবর্তীতে ২০১০ সালে জাতিসংঘের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও পালন হয়ে আসছে।
এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারী ‘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০২৪ উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ আলোচনা ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরছে।