তহিদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
‘চলো চলো ভবদহ চলো,পানি সরাও মানুষ বাঁচাও পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়াও ‘ স্লোগানকে সামনে নিয়ে ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দশ দফা দাবিতে লং মার্চ ও গণজমায়েত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)।রোববার মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি লং মার্চ ও গণজমায়েতের আয়োজন করে।মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এড. শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত লংমার্চ ও গণ জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক নার্গিস বেগম সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন,মারুফুল ইসলাম মারুফ,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক মোঃ মুছা,বিএনপি’ র অভয়নগর উপজেলা সভাপতি
কেশবপুর উপজেলা সভাপতি মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু,বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান প্রমুখ সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন,ছাত্র দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান , যুবদলের আহ্বায়ক,অলিয়ার রহমান সহ যুব নেতা মিজানুর রহমান,সভায় বক্তারা ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমডাঙ্গা খাল খনন, সেচের জন্য পাম্প সংখ্যা বৃদ্ধি,,নিয়মিত ড্রেজিং,জলাবদ্ধ এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা
করা,দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে বসবাসের উপযোগী ও শিক্ষা,প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের ব্যবস্থা করা,ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ভর্তুকি প্রদান করা বিনামূল্যে ওষুধ, সার’ বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা, এনজিও ঋণের কিস্তি বন্ধ,সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, পানিবন্দী এলাকায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি ও অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য যশোর- খুলনার দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের অন্ততঃ চার লক্ষাধিক মানুষ কমপক্ষে ৪৪ বছর ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন।
যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর কেশবপুর খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে মুক্তেশ্বরী,টেকা, শ্রী ও হরি নদীর মোহনা ভবদহ।পলি পড়ে ভবদহ অঞ্চলের নদীর নাব্যতা হারিয়ে নদীর তলদেশ উচু ও ভবদহ সংলগ্ন বিলের তলদেশ নীচু হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কয়েকমাস যাবৎ পানিবন্দী হয়ে পড়ে ভবদহ পাড়ের লাখ লাখ মানুষ,কেড়ে নেয় মাথাগোঁজার জায়গাটুকু,পানিবন্দী হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় উপাসনালয় প্লাবিত হয় কৃষি জমি,মাছের ঘের।পানির কাছে হেরে যায় লাখ লাখ মানুষ।অনেকের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে,স্কুল কলেজ বা আশ্রয়কেন্দ্রে,কেউবা এলাকা ছেড়ে
আশ্রয় নেয় ভিন্ন এলাকায়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড.শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন।কয়েক যুগ ধরে এই এলাকা কে পুজি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে আওয়ামী লীগ এমপিরা।
এই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার সনাতনী ধর্মালম্বী মানুষের বসবাস, সনাতনী ধর্মালম্বীদের সকল সুবিধা দিতে হবে।বাংলাদেশের অন্যতম দুর্গত এলকা এই ভবদাহ। আমরা আর এই দুর্গত এলাকা নাম টি শুনতে চাই না,আমরা চাই মুক্তি।এই ভবদাহ এলাকার জলবদ্ধতার সমাধান সহ ১০ দফা দাবীতে অটল থাকবে বিএনপি।