বিয়ের দাবীতে অনশন, আদালতে মামলা করলেন হিয়া দত্ত, ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবী সচেতন মহলের
জেলা প্রতিনিধি যশোরঃ
যশোর মণিরামপুর বিজিবি সদস্য বাড়িতে অনশন ঘটনায় নানা রকমের রহস্যময় ঘটনা শেষে আদালতে কন্যা হিয়া দত্ত বাদী হয়ে সৌরভ ঘোষ কে আসামী করে মামলা করলেন যাহার মামলা নং সি আর নং ৪৯৪।মমলায় উল্লেখ করেন গত২৩-১২-২০২২ ইং তারিখে যশোর শহরের একটি কালি মন্দিরে ইশ্বর কে সাক্ষী মানিয়া কপালে সিঁদুর তুলিয়া দেই এবং আসামী বাদিনীকে শহরের দড়াটানা নামক স্থানে আনিয়া একটি ৪ তলা ভবনের ৩য় তলায় একটি কক্ষে লইয়া যাই।এবং সেখানে বাদিনী কে ২টি নন-জুডিসিয়াল ১০০+৫০ টাকার স্টাম্পে সহি করিয়া আসামী বাদিনীকে জানায় আমাদের বিবাহ হইতাছে এবং আমরা আজ থেকে স্বামী-স্ত্রী হইলাম।কিন্তু এখন আমি চাকুরীস্হল হইতে আমার বিবাহ অনুমতি না দেওয়ায়, সরকারি অনুমতি ও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝিয়া বাড়ির অভিভাবক বুঝাইয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে বাড়িতে তুলবো।আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তার পরিবারের লোকজন আমাকে সৌরভ ঘোষের স্ত্রী স্বীকৃতি না দেওয়ায় আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি, আদালত তদন্ত করে আমাকে যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমি মেনে নিবো।
এবিষয়ে, সৌরভ ঘোষের বাবা প্রভাস ঘোষ গণমাধ্যম কে জানায়, হিয়া দত্ত কে যদি আমার ছেলে বিবাহ করে, তা হলে বিভিন্ন যায়গায় দেখা করার কি দরকার ছিলো?আমার বাড়িতে অনশন বা বিয়ের দাবী করা কতোটা যুক্তি ছিলো।যদি আগেই তাদের বিবাহ হয়ে যাই তা হলে আমাকে ও আমার ছেলে কে সন্মান হানি করা হলো কেনো?আমার ছেলে কে ফাঁসানো হয়েছে,আমার ছেলেকে জোর করে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে।যার প্রমান তার মেসেঞ্জারে দেখে পরিস্কার হয়েছি।আমার কিছু প্রতিবেশী সুমন সরকার, সুভির সরকার,আনন্দ বিশ্বাস গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন যেখানে আমাকে দোষারোপ করা হয়েছে,আমাকে মামলা বাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আসলে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমার পত্রিক সম্পত্তি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য মামলা করেছি।তার মানে এই নয় আমি মামলা বাজ। আমার প্রতিবেশীরা আমার বিচার চেয়েছেন তারা,এবং ঘটনার দিন রাতে আমার প্রতিবেশী সুমন সরকার তার ফেইসবুকে একটি ছবি আপলোড করে।এবং উল্লেখ করেন আমার ছেলে সৌরভ ঘোষ ও হিয়া দত্ত, অসামাজিক কাজে ধরা খেয়েছেন।সে কি ভাবে না জেনে না শুনে এমন ধরনের পোস্ট করলো।১ই এপ্রিল হিয়া দত্ত আমার বাড়িতে অনশনে বসেন সে দিন,গণমাধ্যমে হিয়া দত্ত নানান ধরনের বক্তব্য দেন।সেখানে একটা বার ও বলেন নি তারা বিবাহ করেছে, বা তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আছে।হিয়া দত্ত গণমাধ্যম কে জানায় তাদের ভেতরে কোনো শারীরিক সর্ম্পক হয় নাই।এ বিষয়ে প্রভাস আরো বলেন আমার ছেলে সরকারি চাকুরীজীবি হওয়ায়, আমার ছেলে-কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এর সুস্থ তদন্ত করে সুস্থ বিচার করছি।প্রভাস ঘোষ আরো বলেন যদি আমার ছেলে তার সাথে শারীরিক সর্ম্পক লিপ্ত হয়ে থাকে সেটা প্রমান হলে আমি তাকে পুত্র বধু সৃকৃতি দিবো।তার ১৮ বছর বয়স হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাড়িতে তুলবো।আমি গত নির্বাচনে কুলটিয়া ইউনিয়ন থেকে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে ছিলাম, এবং সাবেক ইউপি সদস্য, থাকা কালিন অন্যয়ের প্রতিবাদ করতাম, তারই পেক্ষাপটে পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাত এই পরিকল্পনা করে আমাকে ফাঁসাতে না পেরে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে প্রভাস ঘোষ গণমাধ্যম কে জানায়।