ফলোআপ রাজগঞ্জে ভুল ইনজেকশনে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সেই বাদলকে ২৩ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 1 year ago

ডেস্ক রিপোর্টঃ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা বাজারে হাতুড়ে ডাক্তার কতৃর্ক ভুল ইনজেকশন পুশ করায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সেই বাদল কর্মকারের সাথে ২৩ হাজার টাকায় রফাদফা করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর বাজার কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে, হানুয়ার গ্রামের অমূল্য কর্মকারের ছেলে রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার (৩০) গত ২ সেপ্টেম্বর এলার্জি চিকিৎসার জন্য ঝাঁপা বাজারে গাজী ফার্মেসীর মালিক ও হাতুড়ে ডাক্তার আব্দুস সাত্তারের কাছে যান। কথিত ওই ডাক্তার বাদল কর্মকারের বাম হাতে জোরপূর্বক একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর সে বাড়ি এলে সন্ধ্যার পর থেকে তার বাম হাতে অসহনীয় জ্বালা—পোড়া শুরু হয়। একপর্যায় তিনি গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ডাক্তার দেখিয়েও ভালো ফল না পাওয়ায় গত মাসের ১ অক্টোবর সকালে পরিবারের লোকজন তাকে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে ৪দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ডাক্তাররা তার হাতে অপারেশন করার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং গত ৫ অক্টোবর খুলনার হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির দিন রাতেই তার হাতের অপারেশন করে পুঁজ বের করা হয়। সেখানে ১৫দিন চিকিৎসা করার পর টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে গত ২১ অক্টোবর বাড়ি চলে আসেন বাদল কর্মকার। বর্তমানে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক রানার ও জাতীয় পত্রিকায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় এবং জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪ এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বেশ নড়ে চড়ে ঝাঁপা বাজার কমিটির। গত ২৭ অক্টোবর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ বাদল কর্মকারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাজার কমিটির কার্যালয়ে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে বৈঠকে কথিত ওই ডাক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে কথিত ওই ডাক্তার বাজার কমিটির কাছে সময় প্রার্থনা করেন। এরপর বাজার কমিটি কথিত ওই ডাক্তারের সময় মঞ্জুর করেন এবং বাদল কর্মকারকে এক মাস পরে বাজার কমিটির কাছ থেকে জরিমানার টাকা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য বাদল কর্মকার যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাতুড়ে ডাক্তার আব্দুস সাত্তার তাকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার আব্দুস সাত্তারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ২ নভেম্বর ঝাঁপা বাজার কমিটির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তিনি মেনে নিয়েছেন এবং জরিমান টাকা ধার্য তারিখেই পরিশোধ করবেন বলে জানান। তবে যেহেতু বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে সেহেতু ঘটনাটি আর পত্রিকায় লেখার দরকার নেই বলে অনুরোধ করেন এ হাতুড়ে ডাক্তার।
এব্যাপারে ঝাঁপা বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারন সম্পাদক শামসুজ্জামান খোঁকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাক্তার আব্দুস সাত্তার ক্ষতিগ্রস্থ বাদল কর্মকারকে এক মাসের মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে বলে জানান বাজার কমিটির এ দুই নেতা।

error: Content is protected !!