স্টাফ রিপোর্টার:
পাটকে বাংলাদেশে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্যে একটি। বাংলাদেশ পাট বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, তাই পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।
কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।তার প্রধান কারণ হলো পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়া, পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, পাট চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদির দাম বেড়ে যাওয়া, সারের দাম বেড়ে যাওয়া।
পাট চাষ থেকে বিমুখ হচ্ছেন কৃষকরা। আশানুরূপ ফলন না হওয়া, বাজারদর কম , রপ্তানিতে সুখবর না থাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জাগ দেওয়া নিয়ে শঙ্কার কারণে তাদের এই বিমুখতা দেখা দিয়েছে।
শ্রাবণ মাসের মাঝমাঝি সময়েও আশানুরূপ বৃষ্টির দেখা মেলেনি। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে পাটের গুণগতমান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া উৎপাদন খরচই উঠছে না, কৃষকেরা পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। সরেজমিনে পাট চাষীদের ক্ষেত পরিদর্শনকালে নড়াইলের নড়াগাতীর কৃষক এবাদত হোসেন বলেন সার-বীজসহ পাট চাষের অন্যান্য খরচ বেড়েছে।
পাট বীজ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত এক কেজি পাটে খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা সেখানে দুই হাজার টাকা বিক্রি হলে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মন প্রতি লচ হচ্ছে কৃষি শ্রমিকের মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় দাম বাড়েনি। আবার জমিতে পানি না থাকায় চাষীরা এক মুঠা পাট তিন থেকে চার টাকা করে ঘোড়ার গাড়িতে করে দূর দূরান্তে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছে এতে খরচের মাত্র আরো বেড়ে যাচ্ছে, এতে করে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হলে আমরা কৃষকরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাব।