পাইকগাছা বি আর ডি বি অফিস সমাচার -১
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসানের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও রুড় আচরণের অভিযোগ।
পাইকগাছা,খুলনা,প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বি আর ডি বি) রাজিবুল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার ও রুড় আচরণে বিভিন্ন দপ্তরে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
লিখিত ও ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার পল্লী উন্নয়ন অফিসের অধীনে উপজেলার ৭৫ টি গ্রামে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি ও ৮১ টি কৃষক সমবায় সমিতি রয়েছে। প্রতিটি গ্রাম উন্নয়ন সমিতিতে সর্ব নিম্ন সদস্য সংখ্যা ২০/৩০ জন, অনেক সমিতিতে শতাধিক সদস্য রয়েছে।
আর কৃষক সমিতি সদস্যদের মধ্যে উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি গঠিত। তাদের মধ্যে ভোটের মধ্যে দিয়ে প্রান কৃষ্ণ রায় সভাপতি নির্বাচিত। অফিসে তার জন্য একটি নির্ধারিত একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। সরকারী ভাবে তার মাসিক সম্মানিত ভাতা ৫ হাজার টাকা।অন্য দিকে গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজারের সরকারী সম্মানিত ভাতা ২ হাজার ৫ শত টাকা।৭৫ টি সমিতির মধ্যে ৫৫ টি সমিতি সচল রয়েছে। অচল ২০ সমিতি। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বি আর ডি বি) রাজিবুল হাসান গত ১/৭/২১ তারিখে পাইকগাছায় যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকে অফিসার রাজিবুল হাসান প্রথমে হিসাব সহকারী আনিছুর রহমান কে ম্যানেজ করেন।ম্যানেজ করার পর শুরু হয় অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার ও রুড় আচরণ। অফিসার রাজীবুল হাসান হিসাব সহকারী আনিছুর রহমানের মাধ্যমে সমিতির ম্যানেজারদের সম্মানিত ভাতা বিভিন্ন কৌশলে আর্তসাৎ করে আসছে। যে সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজার অফিসার রাজীবুল হাসানের কথা না শুনবে তাদেরকে অগণতান্ত্রিক ভাবে ইচ্ছা মাফিক ভাবে বাদ দিয়ে নতুন সভাপতি ও ম্যানেজার করছে এবং নতুন করে ব্যাংক একাউন্ট করছে।
এমন অভিযোগ কড়ুলিয়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি সুমন কুমার মন্ডল এমন অভিযোগ করেছেন। গত ২৭/৯/২৩ তারিখে উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় অফিসার রাজিবুল হাসান বার্ষিক অফিস খরচ দেখিয়েছে ৬ লক্ষ,৩৪ হাজার,১ শত,৭৯ টাকা।যাহা অন্যান্য বছরের ৫০ গুন বেশি ।ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আর্তসাৎ করে।
কর্মকর্তাদের বাসা বাড়ী সরকারী ভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করলেও, সেখানে কোন কাজ বা খরচ না করে ৪৯ হাজার,১ শত,৭৫ টাকা ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আর্তসাৎ করেছেন। বার্ষিক ঐ সভায় সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে খুব খারাপ বা রুড় আচরণ করেন।