নড়াইলে পি টি আই সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে খাবারের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। 

লেখক:
প্রকাশ: 11 months ago

সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আইসিটি ইন এডুকেশন প্রশিক্ষনার্থীদের খাবারের টাকায় অনিয়ম দূর্ণীতির অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। পি টি আই সুপারিনটেনডেন্ট মোসাঃ শাহিদা খাতুনের  বিরুদ্ধে। প্রতিটি  প্রশিক্ষনার্থীদের খাবারের জন্য  ৪৫০ টাকা বরাদ্দ থাকলে ও নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে।

 

গত ১৮ ডিসেম্বর পি,টি,আই অফিস সূত্রে যানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে সাতটি ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাছাইকৃত শিক্ষকদের  ১৪ দিন আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ১ম ও ২য় ব্যাচ শেষে ইতিমধ্যে ৩য় ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীদের খাবার বাবদ,  প্রতিদিন ৪৫০ টাকার খাবার, দুরত্ব অনুযায়ী  যাতায়াত খরচ ও ৭৫০ টাকা সম্মানি দেওয়া হবে।

 

অভিযোগ  উঠেছে পি,টি,আই সুপারিনটেনডেন্ট নির্দেশনায়  সকালে নাম মাত্র নাস্ত ও দুপুরে ডাল ভাত ও মুরগীর মাংস  দিচ্ছেন। রাতে কেউ না থাকায় সেই টাকা বেঁচে যাচ্ছে। সর্বসাকল্যে ২০০ টাকার খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকদের। নিম্ন মানের খাবার দিয়ে  ৪৫০ টাকার বিল ভাওচার করা হবে বলে অভিযোগ প্রশিক্ষনার্থীদের।

 

অপর দিকে, প্রশিক্ষণার্থীদের  সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে রাতে পি,টি,আই কেন্দ্র  থাকতে হবে।

 নীতিমালায় থাকলে ও সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনকে ম্যানেজ করে স্ব স্ব গৃহে চলে যাচ্ছেন প্রশিক্ষনার্থীরা। অবৈধ এই সুবিধা পেয়ে খাবারের টাকার অনিয়মে অনেকেই মুখ খুলছে না।

 

তবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে এই অনিয়ম দূর্নীতির বিসয়ে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করছেন বলেই ২য় তৃতীয় ব্যাচের বিসয়ে পিটি আই সুপারিনটেনডেন্ট মোসাঃ শাহিদা খাতুন বর্তমান প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

 

নড়াইল  পি,টি,আই ইন্সপেক্টর ( সাধারন) প্রশিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, খাবারের মান নিম্ন বললে ভূল হবে।খাবারের মান সঠিক আছে। প্রশিক্ষনার্থীদের সকালে ডিম, পুরি, কমলা ও দুপুরে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে  নড়াইল  পি, টি,আই সুপারিনটেনডেন্ট মোসাঃ শাহিদা খাতুন বলেন, প্রতিটি  প্রশিক্ষনার্থীদের খাপারের জন্য ৪৫০ টাকা বরাদ্দ আছে। আমি প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে কথা বলে ৩৫০ টাকার খাবার দিচ্ছি।  বাকি ১শত টাকা তাদের নগত দেওয়া হবে। তবে এ ভাবে নগত দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। রাতে না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন,রাতে কোন শিক্ষক থাকতে রাজি না। যার কারনে এটা নিয়ে আমি জোরাজুরি করিনি। কেউ যদি থাকতে চায় তাহলে থাকবে। তিনি আরো বলেন, রাতে কেউ না থাকলে তো রাতের খাবার বেচে যাবে এটা স্বাভাবিক

error: Content is protected !!