মিশকাতুজ্জামান,নড়াইল প্রতিনিধি:
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও শিল্প সংস্কৃতিকে সার্বজনীন করার উদ্দেশ্যে নড়াইলের চিত্রা নদীতে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী ‘এস এম সুলতান নৌকা বাইচ’ প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮শে অক্টোবর) দুপুরে চিত্রা নদীর শেখ রাসেল সেতু (নড়াইল ফেরিঘাট) থেকে নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম। এসময় নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, এস এম সুলতান নৌকা বাইচ কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।নড়াইল জেলা প্রশাসন ও শিল্পী এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নড়াইলের চিত্রা নদীতে পুরুষ ও মহিলাদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এস এম সুলতানের নামে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। চিত্রা নদীর রাসেল সেতু (নড়াইল ফেরিঘাট) থেকে এস এম সুলতান সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রতিযোগিতায় পুরুষদের কালাই ও টালাইগ্রæপে মোট ৮টি এবং মহিলাদের ৪টি নৌকা অংশগ্রহন করে। এরমধ্যে কালাইগ্রুপে গোপালগঞ্জের মা শীতলা নামের নৌকা ১ম, যশোরের জগন্নাথপুর গ্রামের আব্দুল কাদের খানের নৌকা ২য় এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বেলেবানা গ্রামের নিছার শেখের নৌকা ৩য় হয়েছে। টালাই গ্রæপে মাগুরা সদরের ঘানাবাড়ি গ্রামের মোঃ আকরাম এর নৌকা ১ম, খুলনার তেরোখাদা উপজেলার পাটগাতি গ্রামের মোঃ দিদার মোল্যার নৌকা (ভাই ভাই জলপরী) ২য় এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার অপূর্ব রায়ের (জয় মা কালী) নৌকা ৩য় স্থান অধিকার করে। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের পুতুল মজুমদারের (গানের পাখি) নৌকা ১ম, গুয়াখোলা গ্রামের দিপালী সরকারের (চিত্রাকলি) নৌকা ২য় এবং এই গ্রামের মনিহার পালের (কুসুম কলি) নৌকা ৩য় স্থান অধিকার করে।নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই চিত্রা নদীর দু’পাড়ে সমাবেত হতে থাকেন উৎসুক জনতা। বাড়ির ছাঁদ থেকে শুরু করে গাছের উঁচু ডালও ছিল দশর্কে পরিপূর্ণ।সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ বাঁধাঘাটে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।