নড়াইল শহরের পৌরসভার গাড়োচোরা এলাকায় পশুর হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫ জুন (বুধবার) দুপুরে এই পশুর হাটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলা সাখার সিনিয়র সহ সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা। নড়াইল পৌরসভার তত্তবাধায়নে এ হাট পরিচালিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ-সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মাদ রেজাউল বিশ্বাস, জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ও পৌর কাউন্সিলর- কর্মকর্তা-কর্মচারি, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ গরু ব্যাপারী-ক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ-সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরুর ব্যাপারীদের ছাতা উপহার দেয়া হয়। হাটের প্রথম দিনেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু ছাগল নিয়ে হাজির হন বিক্রেতারা । কেনা-বেচাও ভালো হয়েছে। পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা জানান, নড়াইল পৌরসভার হাতিরবাগান এলাকায় এক সময়ে পশুর হাট বসতো। কিন্তু নানা কারনে হাটটি বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় । সেই হাটটি স্থান পরিবর্তন করে এখন থেকে নড়াইল পৌরসভার তত্তাবধায়নে পৌরসভার গারুচোরায় প্রতি বৃহস্প্রতিবার সকাল থেকে বসবে এই পশুর হাট।
এ হাটে সাধারন মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পশু কিনতে বা বিক্রি করতে পারে, ক্রেতা-বিক্রেতা বা কোন ব্যাপারি যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কোন ব্যাপারী যদি রাতে যেতে না পারে তাদের থাকার সু-ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নিরাপদে গরু রাখারও সুব্যবস্থা রয়েছে। দেশের যেকোনো হাটে পশু কিনলে অধিক পরিমাণে হাসিল (ট্যাক্স) দিতে হয়। এই হাটে প্রতি গরু কেনা-বেনা হলে গরু ক্রেতাকে২ শত টাকা ও গরুর মালিককে (বিক্রেতা) ১ শত টাকা করে দিতে হবে। এছাড়া ছাগল কিনলে ক্রেতাকে ৬০ টাকা ওবিক্রেতাকে ৪০ টাকা করে হাসিল (কর) দিতে হবে বলে জানান পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা।