মোঃ রাজু,রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বড় খোচাবাড়ি ২৮ মাইল নামক এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ এ। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক রাসেল রানা নিহত হয়।
আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ তারিখে মারা যায় অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী সুমিত্রা রায় এবং গতকাল রোববার ভোরে মারা যায় মোটরসাইকেল আরোহী ফিরোজ হোসেন। সকালে ফিরোজের লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ি ২৯ মাইল এলাকায় এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে৷ নিহত- রাসেল রানা সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে, নিহত ফিরোজ হোসেন একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে এবং নিহত অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী সুমিত্রা রায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের শচীন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বলে তথ্য পাওয়া যায়।
ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম বলেন বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কিছু টাকা নিয়েছিল বাবার কাছ থেকে। সেই যে গেলো বাড়ি থেকে এখন লাশ হয়ে ফিরে এলো বাড়িতে এ বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা বেলাল হোসেন। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে বাবা-মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে পরিবেশ। তাদের শান্তনা দিতে গিয়ে কাঁদছেন প্রতিবেশীরাও।
তিন দিন আগে ছেলেকে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন রাসেলের মা লায়লা বেগমও। লায়লা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ওরা দুই বন্ধু তো পাশাপাশিই শুয়ে রইলো ‘আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচব।
প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে ফিরোজ হোসেনকে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দুই বন্ধুকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।বোদা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম বলেন, অ্যাম্বুলেন্স এর চাকা ফেটে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে দুটোই রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয় এবং পরবর্তীতে আরো দুজন সহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।