স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ তারিফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র। গত ২৫ মার্চ সে নিজ বাড়ী থেকে তার শিক্ষকের সাথে মোটর সাইকেল যোগে প্রাইভেট পড়ার জন্য উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ঘাতক ট্রাক্টর চালক মিথুন একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন ট্রাক্টর ট্রলি বেপরোয়াভাবে দ্রুত গতিতে এসে মোটর সাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার আঘাতে ভিকটিম রাস্তায় ছিটকে পড়লে ট্রাক্টর ট্রলির চাকা ভিকটিমের মাথার উপর দিয়ে চালিয়ে চলে যায়। ফলে ভিকটিম এবং শিক্ষক গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমদ্বয়কে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুল ছাত্র তারিফকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বেড়ায়। র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী মিথুনকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৩ মে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন আড়কান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা যশোর জেলার চৌগাছা প্রধান পলাতক আসামী-মিথুনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।