জরুরী এলজিআরডি কাজে নিয়জিত, ইউএনও কে চ্যালেঞ্জ করেছে ইউপি সদস্য 

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 2 years ago

অমিতাভ মল্লিক,প্রধান ক্রাইম রিপোর্টার:

যশোর মণিরামপুর উপজেলা শ্যামকুড় ইউনিয়নের ময়না বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে মাটির ট্রাক্টর চলাচলের কারনে স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে যায়। ক্লাস চলাকালীন এই ট্রাক্টর চলাচলে আতংকে থাকে ছাত্র ছাত্রীরা। স্কুলের জানালা খোলা যায় না,রোদে ধুলা,বৃষ্টিতে কাঁদা, এমন পরিবেশে স্কুল তো নয় যেন ভুতের বাড়ি। বেশ কিছু দিন আগে ময়নাবাড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ থাকে আমার বিদ্যালয়ের সাথে একটি সলিং রাস্তা যাহা স্কুলের প্রাচীর ঘেসে বয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটির ট্রাক্টর চলাচলের কারনে স্কুলের শিক্ষার্থীরা সব সময় আতংকে থাকে।

স্কুলের মাঠে শিশুরা খেলা করে। বেশ কয়েক বার ছাত্র ছাত্রী আহত হয়েছেন, তাদের খেলার ফুটবল ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে গেছে। স্কুলের ভবনের পাশ দিয়ে যখন এই ট্রাক্টর চলাচল করে তখন মনে হয় গায়ের উপর দিয়ে উঠে যাচ্ছে মাঝে মাঝে ক্লাস রুম থেকে শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বের হয়ে আসে। জানালা খোলা যায় না ধুলাবালির কারণে।

এর পর আজ ২৫ শে মে পুনরায় এই ইউপি সদস্য স্কুলের পাশ দিয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করছিলো। হটাৎ স্কুলের শিক্ষক,ও শিক্ষার্থীরা মাটি বহনকারী ট্রাক্টর আটকে দেয়। ট্রাক্টর আটকে দেওয়ার পরপরই ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ময়না বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আটক থাকা ট্রাক্টরের নিকট এসে,স্কুল শিক্ষক কে গালিগালাজ করে এবং কে আটকায় এই ট্রাক্টর দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুমতি দিয়েছেন বলে চিৎকার করেন বলেন ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন কে ফোন দেয়,বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ট্রাক্টর চলছিলো, আপনি বলেছিলেন গাড়ি আটকে ফোন দিতে। ইউএনও কে তিনি জানান ফজলুর রহমান বলছে আপনি নাকি এই মাটি কাটতে অনুমতি দিয়েছেন। আরো দেখা মেলে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে একটি প্লেট সামনে লাগানো আছে। সেই নেইম প্লেটে উল্লেখ করা আছে জরুরি এলজিআরডি কাজে নিয়জিত।

এবিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন স্কুল শিক্ষক কে জানায় আমি মাটির ট্রাক্টর চলাচলের কোনো অনুমতি দেই নাই।

error: Content is protected !!