অনলাইন ডেস্কঃ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা কম ছিলো। ঠিক কি কারণে ছেলেদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তা ভেবে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন, যা ৫০.৬৮ শতাংশ। ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে একটু ভেবে দেখা দরকার। এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থী সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ‘অনেক মেধাবী’ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দরকার শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করা। সারাবিশ্বের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ছেলেমেয়ারা যেন চলতে পারে।
ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা-দীক্ষায় চিন্তা-মননে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে, সেভাবেই সবাইকে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান সরকারপ্রধান।
ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সম্পদের মধ্যে শিক্ষা এমন একটা সম্পদ যেটা কেউ কেড়ে নিতে পারে না, সবসময় কাজে লাগবে।
আর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, মনে দুঃখ নেওয়ার কিছু নেই। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলেই তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। একটু পিছিয়ে পড়লেও ক্ষতি নেই, তারা আবার এগিয়ে যেতে পারবে।
সকাল ৯টায় গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো কর্মকর্তারা।
এম, এম হোসেন, নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪