ঘুষ নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগে এসআই ক্লোজড

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

আরিফুল ইসলাম আরিফ,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মামলার রেকর্ড ও ওয়ান্টেভুক্ত আসামী না হয়েও এক ব্যাক্তিকে আটক করে উৎকোচ গ্রহন ও মোটা অংকের ঘুষ দাবির অভিযোগে পুলিশের এস আই আইয়ুব আলীকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি তদন্ত নাজমুস সাকিব সজীব। তিনি জানান উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।জানাগেছে,ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আইয়ুব আলী যোগদানের পর থেকে উপজেলার সাধারণ জনগণের অভিযোগের তীর উঠে তার দিকে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের উপর অহেতুক হয়রানি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় ও দাবি করে আসছেন।সর্বশেষ ঘটনা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ি এলাকার (ভুরিয়ার কুটি ) গ্রামের মৃত:গমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মজিদুল হক (৫০) এর সাথে তার আপন মামা মোঃ বছির উদ্দিনের পারিবারিক কলহের জের ধরে মামা মোঃ বছির উদ্দিন গত-১৫ (সেপ্টেম্বর) ভাগিনা মজিদুলের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ (সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় মিমাংসা করবে বলে থানার ডেকে পরে বিশ হাজার টাকা দাবি করে পরবর্তী তে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা রফাদফায় গভীর রাতে ছেরে দেয়।১৮ (সেপ্টেম্বর) আবার মিমাংসার লক্ষ্যে মজিদুল সহ তার আরও দুই ভাইকে ডেকে এনে এনে এক লক্ষ্যে টাকা দাবী করে না দিলে মামলা দিয়ে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিমাংসা করার সিদ্ধান্ত হলে গভীর রাতে ছেরে দেয়। তাতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে ফোন করে টাকা দাবী করে রাজি না হলে আবার ০৩ (অক্টোবর) সকালে মজিদুল কে জুম্মার পাড় নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চালান করিয়ে দিবে বলে থানা হাজতে রাত আটটা পর্যন্ত আটকে রাখে।বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার কে অবগত করলে তিনি নিজেই অভিযুক্ত এস আই আইয়ুব আলী কে মোবাইল ফোনে মজিদুল কে তুলে আনার বিষয়টি জানতে চান উত্তরে তিনি বলেন সে এজাহার ভুক্ত আসামি সেই কারণে তাকে তুলে আনা হয়েছে বলে জানান। কিন্তূ সারাদিন গিয়ে রাত আটটা অবধি তাকে চালান না দিলে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই অফিসার ইনচার্জ ওর রুমে গিয়ে মামলার কপি চেয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এসময় মামলা নম্বর কিংবা মামলার কপি দেখাতে না পারায় সবাই বিব্রত বোধ করেন।শিমুলবাড়ি ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল জানান, এতদিন জেনেছি পুলিশেই জনতা জনতাই পুলিশ কিন্তূ এস আই আইয়ুব আলী তার ব্যতিক্রম। তিনি অন্যায় ভাবে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা মজিদুল হক কে থানা হেফাজতে ১৪ ঘণ্টা আটকে রেখে তার পরে ছেড়ে দেন।শিমুল বাড়ি ইউনিয়নের মহিলা সদস্যা মোছাঃ লায়লা বেগম জানান, তিনি আমার নিকট ইতিপূর্বে মজিদুলের বিষয়ে মামলা হবে না মর্মে ছয় হাজার টাকা ঘুষ নেন আবারো মঙ্গলবার তাকে অবৈধভাবে ধরে নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন গরীব অসহায় মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই থানায় ১৪ ঘন্টা আটক করে রাখা হয়েছে এবং আমার সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ করা হয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

error: Content is protected !!