নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি: অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি ঘোষ ঘোষ নান্নু। সে উপজেলার মুন্সিখানপুর গ্রামের মৃত সুজিত কুমার ঘোষের জৈষ্ঠ পুত্র। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নান্নু। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা তার শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার সনাক্ত করেন। শুরুতেই যশোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌতম কুমার ঘোষের কাছে নিচ্ছিলেন। কিন্তু শাররীক বিভিন্ন উপসর্গের কারণে তার নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় তার বুকের ডানপাশে পাজরের ভিতরে টিউমার ধরা পড়ে। তাকে জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক নান্নুর বায়োপসি পরীক্ষার পর ক্যান্সার সানাক্ত করে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
ব্যয়বহুল এ মরণব্যাধির চিকিৎসা করাতে তার গচ্ছিত অর্থসহ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ এখন শেষ প্রায়। বসতবাড়ী ছাড়া আর কিছ্ইু অবশিষ্ট নেই। অর্থাভাবে ভারতে আর যেতে পারেন তিনি। অনেকটা নিরুপায় হয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল আজিজ সুমনের তত্ত¡াবধানে কিছুদিন চিকিৎসা করান। বর্তমানে ঢাকার ‘বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হসপিটাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম’-এ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক-এর তত্ত¡াবধানে চিকিৎসাধিন আছেন এবং তারই পরামর্শ মোতাবেক ঢাকাস্থ্য ‘ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড’-এ কনসালটেন্ট ডাঃ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল নোমান-এর মাধ্যমে নিয়মিত তার থেরাপি দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে থেরাপি’র কয়েকটি কোর্স শেষ হওয়ায় সে এক সপ্তাহের জন্য বাড়ী এসেছে। আগামী শুক্রবার থেকে পুনরায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী চিকিৎসা শুরু হবে বলে নান্নুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে পরবর্তী চিকিৎসা খরচ নিয়ে তার পরিবার এখন দিশেহারা। এক সময়ে রাজপথে জয় বাংলা ¯েøাগানের ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতৃত্বে দেওয়া নান্নু টাকার অভাবে চিকিৎসা কি হবে না? নাকি ধুকেধুকে মৃত্যুর দুয়ার অবধি পৌছে যাবে? ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃনাল কান্তি ঘোষ নান্নু বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ যোগাতে আমার সম্পদের প্রায় সবই শেষ পর্যায়ে। ভিটাবাড়ী ছাড়া আমার অবশিষ্ট কিছুই নেই। আমার একমাত্র ছেলে এবার ম্যানেজেমেন্টে অনার্স তৃতীয়বর্ষ শেষ করেছে এবং একমাত্র কন্যা এবার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আমার এই অবস্থায় তাদের পড়ালেখাও হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।’ নান্নুর বিধবা মাতা আর্চনা রানী ঘোষ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার প্রতিদিন ঔষুধসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাজার-হাজার টাকা লাগে নান্নুর চিকিৎসা বাবদ। এই বিশাল অংকের টাকা ব্যয় করা এখন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার পরিবারের কাছে। আমাদের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সাদ্যের বাইরে। এত দিনের চিকিৎসার টাকা দিতেই হাত পাততে হয়েছে সমাজের বিত্তবানদের কাছে। বাকি চিকিৎসার অর্থের যোগান মেটাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ নান্নুর নিজস্ব বিকাশ নং-০১৮২৭৫৬৪৬৪০ এবং প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলার জন্য ০১৩২৩১৬৮৯৫৫ মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করবেন।