কথায় আছে, দৃঢ় মনোবল আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব।ঠিক তেমনি কোনো প্রকার এডমিশন কোচিং ছাড়াই জিএসটি গুচ্ছুভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন চিনাডুলী ফাজিল মাদরাসার আলিম ২৩ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম।
তিনি দাখিল এবং আলিম একই মাদরাসা থেকে পাশ করেছেন।গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী তারিকুল, ২০১৬ সাথে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে মাদরাসায় ভর্তি হন।
ইসলামপুরের চিনাডুলী ফাজিল মাদরাসা থেকে দাখিল ২০২১ ব্যাচে জিপিএ ৪.৩৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।তিনি ৪৮.৫০ নম্বর পেয়ে ৩১৫৬ তম হয়েছেন।
তারিকুলের বাড়ি ইসলামপুরের উলিয়া-সোনামুখি নামক এক আজপাড়া গাঁয়ে অবস্থিত।তিনি গ্রামের ছেলে হয়ে কোচিং ছাড়াই পাবলিকিয়ান হতে পেরেছেন শুনে ইসলামপুরের বিভিন্ন ব্যাক্তি / ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে এক অন্যরকম চলঞ্চলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে চাঁদনী নামক এক শিক্ষার্থীর কোচিং ছাড়াই ঢাবিতে চান্স পেয়েছে।তিনি তার ডাইরিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে লিখেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার স্বপ্ন। সবার মতো আমি ওখানেই পড়তে চাই।সামনে অনেক না পাওয়ার কারণ দেখেও আমি আশা রাখছি যে, আমি যেতে পারবো।
তিনি আরো লিখেন, কলেজে সবার থেকে আমার ফাইনেস দিকটা আলাদা। আমি বড়ও হয়েছি অনেকটা আলাদা পরিবেশে।তাই অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করিনা। আমি নিজেকে অনেক স্পেশাল ভাবি, ভাবি আমার দ্বারা অবশ্যই কিছু সম্ভব হবে।বই কিনে পড়া শুরু করবো।আমি ভার্সিটিতে অর্থাৎ ঢাবিতে চান্স নিবোই ইনশাআল্লাহ।
চিনাডুলী ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত (অধ্যক্ষ) ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের মাদরাসা থেকে অনেকেই পাবলিকিয়ান হয়েছে।প্রতিবারের মতো এইবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে তারিকুল নামক ছেলের চান্স হয়েছে।এর আগে ঢাবি,রাবি,জাবি,কুবিসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে আমাদের ছেলেমেয়ারা চান্স নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসলামপুর থেকে এডমিশন কোচিং করে বুয়েট সহ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকের চান্স হয়েছে। এ পর্যন্ত এডমিশন কোচিং ছাড়া চাঁদনী নামক এক মেয়ের ঢাবিতে আর তারিকুলের গুচ্ছতে চান্স হয়েছে বলে জানা যায়।