অমিতাভ মল্লিক ক্রাইম রিপোর্ট:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা অর্থাৎ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তন্ময় বিশ্বাস এর আপন ভাইপো সজীব বিশ্বাস। রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার সহ কোন কিছুর পরোয়া না করেই নানাবিধ নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
অভিযোগ আছে একই ইনজেকশন দিয়ে বহু রুগীর দেহে পুশ করছে সে। এছাড়া এক্সে চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও সে রুগীর এক্সে করে টাকা নিচ্ছে।এই এক্সে রুম ই হয়ে উঠেছে তার টাকা আয়ের প্রধান উৎস। সজীব এর খোজ নিতে এলাকায় গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চলে আসে বহু অজানা তথ্য। সজিব বিশ্বাস মাদকাসক্ত এবং এলাকায় সকলকে বলে আমাদের অনেক ক্ষমতা।
আমার কাকার হাসপাতাল মণিরামপুর হাসপাতাল। হাসপাতাল জুড়ে সকল কিছু নাকি নিয়ন্ত্রন করে এই সজীব। হাসপাতালের কয়েক জন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় সজীব বিশ্বাস সবার সাঙ্গে দম্ভের সাথে কথা বলে।কাউকে তোয়াক্কা করে না সে। কর্মকর্তাদের বলে আমার কাকার হাসপাতাল, আমার কথা না শুনলে কাকাকে নালিশ করে দিব। আর জলে বাস করে কুমিরের সাথে ঝামেলা করলে আপনারা কি ভালো থাকবেন?
গোপন সূত্রে আরও জানা যায় কাকা ডা: তন্ময় বিশ্বাসের ক্ষমতার জোরে হাসপাতালের ইমাজেন্সি ও এক্সে রুমে সে আসে এবং তার ইচ্ছে মত কাজ করে। ভয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে কিছু বলতে ভয় পায়।
হসপিটালের বহির্বিভাগ বা ভিতরে কোন কোন ওষুধ কোম্পানিগুলোর রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি কোন ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করবে তাও নির্ভর করে এই সজীবের উপর। শুধু তাই নয় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ দের কাছ থেকে মোট অংকের টাকার বিনিময়ে কোন ওষুধ চলবে কোন ডাক্তার কি প্রেসক্রিপশন করবে তাও নির্ভর করে সজীবের উপর। ফলে সজীবের সকল আনৈতিক আবদার মেনে নিতে হয় নিরবে চাকরি বাঁচাতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের।
ওষুধ কোম্পানির নাম কি এটা জানা প্রয়োজন নেই ? ওষুধের মান কেমন এটাও বিষয় না? ছোট স্যার অর্থাৎ সজীব কে খুশি করতে পারলেই চলবে সেই ওষুধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের দুই একজন কর্মচারীও বলেন যে, শুধু আমাদের না, ডাক্তার স্যারেরাও নাকি সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে সজিবের কথা না শুনলে তাদের ও হয়তো বা ডিমোশন হয়ে যেতে পারে? শুধু তাই নয় হসপিটালে যে বিগত তিন মাস ধরে এম্বুলেন্সের তেলও নাই এসব কিছুর জন্য দায়ী সজীব বিশ্বাস। কাকা তন্ময় বিশ্বাসের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পুরো হসপিটাল টাকে-ই নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছে এই সজীব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যে কৃত্রিম ওষুধের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার একমাত্র কারণ এই সজীব। সজীব এর অত্যাচারে শুধু কর্মকর্তা কর্মচারী নয়, ওষুধ কোম্পানির সহ সাধারণ রোগীরাও প্রতিনিয়ত বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনে দেখা দিয়েছে দারুন উদ্যেগ ও যন্ত্রণা। পরিত্রাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন সকলে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তন্ময় বিশ্বাসের
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি সবাই শেয়ার করুন