কিভাবে এত কম সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হল পায়রা

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

ডেস্ক রিপোর্টঃ

এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সুরক্ষা দিচ্ছে পরিবেশের, নিশ্চয়তা দিচ্ছে সাশ্রয়ী বিদ্যুতের। এর আগে, শুক্রবার ২৩ই জুন রাতে জেটিতে আসে কয়লাবাহী জাহাজ। রোববার ২৫ই জুন উৎপাদনে যায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যবহার করা হয় আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি। এতে রয়েছে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি। কেন্দ্রটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাকার এবং কনভেয়ার বেল্ড ব্যবহার করায় মাত্র দুই দিনের মধ্যে কয়লা খালাস হয়ে ঢুকেছে কেন্দ্রের রিজার্ভারে। জাহাজ থেকে প্রতিদিন ২৪ হাজার টন কয়লা খালাসের সক্ষমতা রয়েছে। আর এ কারণেই কম সময়ে উৎপাদনে যেতে পেরেছে বলে জানান বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির শীর্ষ কর্মকর্তা।

খোরশেদুল আলম জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা একেবারেই আবৃত অবস্থায় পৌছে যায় পাওয়ার ব্লকের বয়লার চেম্বারে। এরপর ৬০০ ডিগ্রি সেন্টুগ্রেট এবং ২৭ মেট্রিক টন চাপে কয়লা পুড়িয়ে তা থেকে উৎপন্ন হওয়া বাষ্পে চালানো হয় দুটি টার্বাইন। এ কেন্দ্রটিতে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা ধারণ ক্ষমতার ৪টি কোল ইয়ার্ডে ২ মাসের কয়লা মজুদের সক্ষমতা রয়েছে। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণের শঙ্কা কম। আর কম পরিমাণ কয়লায় উৎপাদন হচ্ছে বেশি বিদ্যুৎ।

চীনাদের পাশাপাশি এখানে কর্মরত আছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলীরাও। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ দিন বন্ধ থাকার পর এবার চীনাদের সহযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুত কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ সচল করেছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পটুয়াখালীতে নির্মিত হয় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২১ সালের ডিসম্বরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ।

 

সি.বিশ্বাস/নিউজবিডিজার্নালিষ্ট ২৪

error: Content is protected !!