কালীগঞ্জে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ 

লেখক: হুমায়ুন কবির
প্রকাশ: 5 days ago

হুমায়ুন কবির, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের  কালীগঞ্জে এক মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে পচা গরুর মাংস বিক্রি অভিযোগ উঠেছে।  পৌর শহরের নলডাঙ্গা গোহাটা রোডের তেমাথায় অবস্থিত “আল্লাহর দান গোশত ঘর” নামক দোকানে গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় পচা গরুর মাংস বিক্রির  এ ঘটনা ঘটে। সকালে আল্লাহর দান গোশত ঘরে মাংস কিনতে এসে ক্রেতারা প্রথমে বিষয়টি ধরতে পারেন। সে সময়ই তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পৌরসভার একটি দল এসে ঘটনার সত্যতা পায়।
কালীগঞ্জ পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির তখন শামীম হোসেনের মাংস বিক্রির দোকান থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৫৫ ধারা অনুযায়ী ১৫ কেজি পচা গরুর মাংস জব্দ করেন এবং জনসম্মুখে ওই পচা মাংসে কেরোসিন ঢেলে সম্পূর্ণরূপে খাবার অনুপযোগী করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক আব্দুস সামাদ, কালিগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল- আমিনসহ স্থানীয়  অনেকে। সোহেল আহমেদ নামে একজন মাংস ক্রেতা জানান, আমি প্রায়ই শামীম ভাইয়ের দোকান থেকে মাংস কিনি।
কিন্তু উনি যে এভাবে পচা মাংস বিক্রি করেন তা তো জানতাম না। আমার তো মনে হয় মাংস বিক্রির যে নিয়ম নীতি রয়েছে তা এখেনে থাকা মাংস বিক্রেতা  আশরাফ ও শাজাহানসহ  কোনো মাংস বিক্রেতাই মানেন না। আবার পৌর কর্তৃপক্ষ মাংস নিয়ম মেনে বেচা বিক্রি হচ্ছে কিনা এ সংক্রান্ত তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন বলে মনে হয় না। যে সমস্ত মাংস বিক্রেতারা এভাবে মানুষকে অখাদ্য খাওয়াই তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অভিযুক্ত আল্লাহর দান গোশত ঘরের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেনের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, ওই মাংস ফ্রিজে রাখা ছিল। যে কারণে পানি ঝরছিল এবং কিছুটা গন্ধ হয়েছিল। যা হবার হয়েছে ভাই, এরপর থেকে এমন কাজ আর হবে না।
কালিগঞ্জ পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পচা মাংস বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে পচা মাংস জব্দ করি এবং তা বিনষ্টপূর্ব বিক্রেতা শামিম হোসেনকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ ধরনের কোন কাজ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে।
error: Content is protected !!