কালীগঞ্জে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

লেখক:
প্রকাশ: 2 years ago

 হুমায়ুন কবির কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মহিলা কলেজ গেট এলাকায় দুই ভাইকে কুপিয়ে ও
পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে  চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরির
বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন-
উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাহাবুর রহমান ও সুলতান মাহমুদ
মিনি। এরমধ্যে মাহাবুর রহমান কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ কলেজের অফিস
সহকারী ও সুলতান মাহমুদ মিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরি উপজেলার ৫নং শিমলা-রোকনপুর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, দুই ভাই সন্ধ্যার দিকে দোকানে বসে ছিল। হঠাৎ নাসির উদ্দিন
চৌধুরিসহ ১৫/২০ জন এসে তাদের দোকানে হামলা করে। এ সময় দুই ভাইকে
কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত সুলতান মাহমুদ মিনি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই ভাই মহিলা কলেজ
গেটের পাশে নিজ দোকানে বসে ছিলেন। চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন
চৌধুরির নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দোকানে এসে হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে
দা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও রড ছিল। তার বড় ভাই মাহাবুর রহমান তাকে ঠেকাতে
এলে দা দিয়ে দুই পা ও মাথায় কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এই ঘটার পর রাত নয় টার দিকে আহতদের শহরের আয়শা তেল পাম্পের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান, এ সময় চেয়ারম্যান উচ্চস্বরে তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
করে ১ কোটি টাকা খরচ করানোর জন্য দায়ী করে। চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ
সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রুপের অনুসারী। আর তারা সাবেক মেয়র
মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর অনুসারী। আওয়ামী লীগ করেও বারবার চেয়ারম্যান তাদের
উপর হামলা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতবছরও তার উপর হামলা করে গুরুত্বর
জখম করে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরি বলেন, তাদের কাছে ১ কোটি
টাকা পাবেন তিনি। সেই টাকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাইতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বিচার করে দিয়েছিলেন। এ সময় তারা টাকা দিতেঅস্বীকৃতি জানায়। পরে ছেলেপেলে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তিনি পাশের
দোকানে বসে ছিলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শম্পা মোদক
জানান, মাহাবুর নামের একজনের মাথায় ও দুই পায়ে ধারালো অস্ত্রে আঘাত রয়েছে।
বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অন্যজন সুলতান মাহমুদের বিভিন্ন স্থানে
জখমের চিহ্ন রয়েছে। তারা দুজনই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ করেনি।
error: Content is protected !!