হুমায়ুন কবির কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দেবাশীষ ভৌমিক নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে দোকান থেকে ডেকে ফয়লা গোরস্থান পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা জব্বার আলী ও তার স্ত্রী সেলি বেগম মোবাইলে পাওনা ২০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা বলে সাইজ কাঠ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেন এবং ১৫০ টাকার খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন।এসময় দেবাশীষ ভৌমিক এর কাছে থাকা ৬ আনা সোনার একজোড়া কানের দুল ও ২ হাজার টাকাও সিনিয়র নেন তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে দেবাশীষ ভৌমিককে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর বেলা সাড়ে বারোটার দিকে মধুগঞ্জ বাজার ঢাকালে পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয়রা দেবাশীষ ভৌমিককে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান। পরবর্তীতে তিনি কালীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের নামসহ অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা নং হলো ২৯।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বার আলীর সাথে কথা হলে তিনি মারধর ও খালি স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষ আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দেয়। সে তার কাছে থাকতে চাই। একারণেই তাকে মেরেছি।
ভোক্তভোগী দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, আমার পাওনা টাকা চাওয়ার কারণেই মূলত জব্বার আলী ও তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তার স্ত্রীর সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটক সাজাচ্ছে। আমি এদের বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ কাজ করছে।