কয়রা থেকে ঘুরে উজ্জ্বল কুমার দাসঃ
কয়রায় জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্হিতিতে প্রধান বক্তা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু বক্তব্যকালে তার অনুসারীরা জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু স্লোগান কালে কয়রা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি,এম মহসিন রেজা উত্তেজিত হয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য বন্ধ করেদেন। এ নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আ’লীগের সাধারন কর্মীরা উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানাযায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যেগে গত ২৩ আগস্ট বিকালে কালনা আমিনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে জাতীয় শোক দিবস অনুষ্টানে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি দেবদাস রায়ের সভাপতিত্বে সভা চলছিল।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এ্যাড.সোহরাব আলী সানা,প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল, জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মাহবুবুল আলম,জেলা আ’লীগের সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম,কয়রা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি,এম মোহসিন রেজা সহ স্হানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালিন প্রধান বক্তা এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু’র নাম ঘোষনা করলে তার অনুসারীরা জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে থাকে। আক্তারুজ্জামান বাবু তার বক্তব্য কালে জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু স্লোগান সম্পর্কে আলোচনা তুললেই উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি,এম মোহসিন রেজা উত্তেজিত হয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্য বন্ধ করে দেন। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এ্যাড.সোহরাব আলী সানা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অনুষ্টানের বিশেষ অতিথি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল জানান,দলীয় ঐক্যের স্বার্থে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মাহবুবুল আলম জানান,উপজেলা আ’লীগের সিদ্ধান্ত ছিল কোন ব্যক্তি স্লোগান হবে না, দলীয় স্লোগান দিতে হবে। কিন্তু প্রধান বক্তা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু তার বক্তব্যের সময় তার অনুসারিরা জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়ার কারনে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জি,এম মহসিন রেজা উত্তেজিত হয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম বাহারুল ইসলাম বলেন,উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জি,এম মহসিন রেজা ইতিপূর্বে বিগত দুই জন সংসদ সদস্যকে অবাঞ্ছিত করেছিলেন। বর্তমান এমপি’র ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃবন্দের হস্তক্ষেপের কারনে সেকাজটি করতে না পারলেও এই অনুষ্ঠানে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখ জনক।এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি,এম মোহসিন রেজার কাছে মোবাইল করলে সাংবাদিক পরিচয় দিলেই তিনি লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে অনুষ্টানের সভাপতি দেবদাস রায় জানান,আমার অনুমতি না নিলেও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি,এম মোহসিন রেজা নিজ ক্ষমতা বলে প্রধান বক্তার বক্তব্য থামিয়ে দেন। আব্দুর সবুর গাজী,অহেদ মোড়ল, সাহাদাৎ হোসেন,শিব শংকর সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা জানান,এ ঘটনায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে আর এর সুষ্ঠু সমাধানে কেন্দ্রীয় ও জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এ বিষয়ে এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনায় দলীয় উদ্ধর্তন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বলে জানান।