![](https://newsbdjournalist24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের সতীঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২৫ কালে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রবীর মিত্রকে লাঞ্চিত করাসহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন ন্যাক্করজনক ঘটনায় আগত সকল শিক্ষকগণ ক্ষোভের সাথে বলেন এত অপমানের চেয়ে আমাদের সবার মুখে চড় মারলে খুশি হতাম। বুধবার সকালে ইউনিয়নের সতীঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়দের বিস্তর অভিযোগ।
জানাযায়, যশোরের সতীঘাটায় প্রতি বছরের ন্যায় ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা স্থানীয় সতীঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এবং ক্লাস রুমে কবিতা আবৃত্তি নাচ গান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইউনিয়নের ১৭ টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠান চলছিলো। এমন সময় হঠাৎ ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ক্ষমতার দাপটে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে এবং শিক্ষা অফিসারসহ সকল শিক্ষকগণকে অপমান করে ক্লাস রুম থেকে তাড়িয়ে দেন। এই ঘটনাটি মুহুর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিকও স্কুলের অভিভাবকবৃন্ধের তোপের মুখে পড়ে আলোচিত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ক্ষমা চেয়ে এ যাত্রায় রক্ষা পান বলে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে,এই ধুরন্ধর প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের খুঁটির জোর কোথায়। এ ঘটনা বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার প্রবীর মিত্র বলেন, আমি সহ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে ক্লাস রুমে ইউনিয়ন পর্যায়ে শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা চলাকালে হঠাৎ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন এসেই সকল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। শিক্ষা অফিসারকে অপমান ও অপদস্ত করে ক্লাস রুম তাড়িয়ে দেন। মুহূর্তে এই অপমান সইতে না পেরে তিনি যশোরের উদ্দেশ্যে চলে গেলেন।
এ ঘটনা সইতে না পেরে সতীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথীকা পাল বলেন, শিক্ষক জাকির হোসেনের এত অপমানের চেয়েও দুই গালে দুইটা চড় মারলেও খুশি হতাম। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিবিদ অভিভাবক সদস্য ও জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।