Monday, February 3, 2025

অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির পন্য

Date:

Share post:

কয়রা প্রতিনিধি :

খুলনার কয়রায় বেশ জনপ্রিয় বেকারির তৈরি খাবার। প্রায় প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায় কেক, হরেকরকমের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ ইত্যাদি। এসব পণ্য জনপ্রিয় হলেও এর মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।অভিযোগ রয়েছে, কয়রার সব বেকারির কারখানায় এসব খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই এগুলো বাজারজাত করা হয়।সরেজমিন বেকারির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। প্রতিটি কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে।
নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশসহ বিভিন্ন বেকারির পণ্য।কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা ও আটার গোডাউন। পাশে রাখা আছে জ্বালানির কাঠও। সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবং পামওয়েল তেলের ড্রাম। এর পাশেই ছড়ানো ছিটানো আছে নানা প্রকার তৈরি সব খাদ্যপণ্য।এসব খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও নোংরা। যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাঁদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।

উপজেলার ঘুগরাকাটি বাজারে ইমরান ফুড নামের এক বেকারির বিরুদ্ধে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। আইন না মেনে শিশুদের দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারির খাবার। কোনো খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ও বিএসটিআই অনুমোদিত স্টিকার নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেকারি মালিক মো. মনিরুল বলেন, আমরা চেষ্টা করি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাতে। আমরা দিনের খাবার দিনেই বিক্রি করে ফেলি। বিএসটিআই সহ সকল বৈধ কাগজপত্র আমার রয়েছে।

স্থানীয় চা দোকাদার সালাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ছোট দোকানে চা-পান বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালাই। বেকারির তৈরি এসব খাবার উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না।

স্থানীয় একাধিক সচেতন ব্যক্তি বলেন,কয়রার বিভিন্ন বাজারে বেকারির পণ্য ছাড়াও ভাতের হোটেল, মিষ্টি তৈরির কারখানা গুলোতেও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, ভেজাল খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও কোথাও অনিয়ম হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে দ্রুত।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান জানান, মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

আজ সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও জ্ঞানের আরাধনায় মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ উদযাপিত হচ্ছে। বিদ্যা, সঙ্গীত ও জ্ঞানের দেবী...

যশোর জেলা

যশোর জেলা মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ধন্য আমি করেছে প্রভু যশোর জেলায় জন্ম, হে প্রভু করিও তুমি রহম যেন বুঝতে পারি এর মর্ম। যশোর মোদের...

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে “একতাই শক্তি আমার বাংলাদেশ”-এর জনসেবার অনন্য উদ্যোগ

জাবির আহম্মেদ জিহাদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : “একতাই শক্তি, একতাই উন্নতি” – এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানবসেবামূলক সংগঠন “একতাই শক্তি...

শুরু হতে চলেছে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এম পি কাপ টুর্নামেন্ট 

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ  আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি থানার অন্তর্গত বিধায়ক কার্য্যালয়ে মথুরাপুর...