
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের প্রবীণ ও অসুস্থ সাংবাদিক রফিকুল আলম খানের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
বুধবার (২৭ আগষ্ট) তিনি সদর উপজেলার ডুমুর গ্রামে রফিকুল আলম খানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর শারিরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন বাচ্চু। পরে তিনি আর্থিক সহযোগীতা করেন প্রবীণ এই সাংবাদিককে।
আশির্ধো এই প্রবীণ সাংবাদিক বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চুকে দেখেই বলেন, আমি যখন পুরোদমে সাংবাদিকতা করি, বাচ্চু সাহেব তখন ছাত্রনেতা ছিলেন। তখন থেকেই আমি তাকে চিনি। তাঁর মতো একজন নেতা আমার খোঁজ খবর নিতে আমার বাড়িতে আসায় আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বাচ্চু সাহেবকে। তাকে আমি প্রাণভরে দোয়া করছি।
এ সময় সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি কালবেলায় একটি নিউজ দেখেছিলাম, প্রবীণ সাংবাদিক রফিকুল ভাই অসুস্থ্য। আসলে আমাদের যারা পুরাতন সিনিয়র সাংবাদিক ছিলেন অনেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। যাদের অবদান ছিল এই সিরাজগঞ্জের উন্নয়নের জন্য। আদর্শগতভাবে ওনারা লেখালেখি করেছেন, ওনারা সিরাজগঞ্জের আলোকিত মানুষ।
কালবেলার ওই নিউজটি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ রকম আলোকিত সংবাদিক রফিকুল আলম খানকে দেখার জন্য এসেছি। তিনি একাকি ও অসহায় জীবনযাপন করেছেন।
রফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলো, আমার দেশে, বাংলাদেশ রেডিওর মতো বড় বড় মিডিয়ায় কাজ করেছেন। তিনি আদর্শের সঙ্গেই সাংবাদিকতা করেছেন। সাংবাদিক রউফ ভাই, আমিনুল চৌধুরী, সুনীল ঘোষ, মোতালেব ভাইয়েরও অবদান সিরাজগঞ্জের জন্য আছে।
এ সময় জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজেশ, কালবেলা’র সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস, বহুলী সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট একটি ঘরে চৌকিতে শুয়ে বসেই দিন কাটে এক সময়ের দাপুটে সাংবাদিক রফিকুল আলম খানের। বয়সের কারণে পা দুটি নিশ্চল হয়ে পড়ায় হাঁটাচলা করতে পারেন না। কখনো কখনো পুরনো জীর্ণ হুইল চেয়ারটিতে ঘর থেকে উঠোনে বসিয়ে দেন প্রতিবেশীরা।
বয়সের ভারে ন্যূব্জ এই সাংবাদিককে নিয়ে কালবেলা মাল্টিমিডিয়ায় `প্রবীণ সাংবাদিক রফিকুলের খোঁজ রাখে না কেউ” শিরোনামে গত ৬ মে একটি ভিডিও স্টোরি প্রকাশিত হয়।