
হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও চলছে রমরমা প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য।
এমনকি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকগণরাও কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার দিন বাকি রেখে অন্যান্য দিনে নিয়মিতভাবে প্রাইভেট পড়িয়ে যাচ্ছেন।
এ সকল শিক্ষকগণ সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের প্রাইভেট বাণিজ্য ঠিক রাখতেই এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।
আর এসব দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওইসব শিক্ষকগণ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সারেজমিনে উপজেলার ৫০২ নং এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র রোস্তমা আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়,ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটির হল সুপারের দায়িত্বরত সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলালী ফাতেমা বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন।
একই সময় ওই বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বারোবাজার পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শক মোহাম্মদ আল-আমিন, কেন্দ্র কমিটির সদস্য ও বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক কালি দাস কুমার মজুমদার, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং কক্ষ পরিদর্শক মোঃ আনিচুর রহমানও অন্যান্য কক্ষে প্রাইভেট পড়ানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলমান এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন দায়িত্বে থাকার পরও পরীক্ষা কেন্দ্রের ভবনে প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে হল সুপার বলেন, প্রাইভেট পড়াচ্ছি না,ক্লাস নিচ্ছি।শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অনেক দুর্বল এবং সরকারি পাঠ্যবই মার্চ এপ্রিলে পাওয়ায় প্রথম পার্টটা দেখিয়ে দিচ্ছি।এবছর কালীগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক ৮টি, মাদ্রাসা ২ টি ও কারিগরি ১ টি সর্বমোট ১১ টি কেন্দ্রে এসএসসি,দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১০ এপ্রিল ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি,দাখিল,এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল(ভোকেশনাল) পরীক্ষা নকলমুক্ত সুশৃংখল, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত গণ বিজ্ঞপ্তি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনাকে অমান্য করে উপজেলার বোর্ডস্কুলের পাশে , ভূষণ হাই স্কুল পাড়া, দশতলা ভবনের পেছনে আবাসিক এলাকায়, কোলা বাজার,বালিয়াডাঙ্গা বাজার,রায়গ্রাম এবং কালীগঞ্জ মাহতাব ও মহিলা কলেজ পাড়ায় প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। রোস্তম আলী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এবং ওই কেন্দ্রের সদস্য সচিব আতিয়ার রহমানের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন,স্কুলে প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারটা আমি জানিনা। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট কোচিং করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমার শিক্ষকদেরকে এ ব্যাপারে আমি বারবার সতর্ক করেছি। আপনি বললেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
উপজেলা এসএসসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।