
লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্কুল পড়–য়া দু’ছাত্রকে চুরি মামলা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করেন এলাকাবাসি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রসাশনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাকির হোসেন, ছক্কু মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, রোকেয়া খাতুন, হাসিনা বেগম। বক্তরা বলেন, স্কুল পড়–য়া ছাত্র এনামুল ও সাদ্দাম নামের দুইজনকে নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া তদন্ত ছাড়াই রহস্যজনক ভাবে আসামীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামে ৯ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে সুরুত আলীর বাড়িতে চুরি ও অগিকান্ডের্ন ঘটনা ঘটে। পরের দিন সুরুত আলী বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করার আগেই গত ১৩ অক্টোবর সকালের দিকে হরিণধরা গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন ও অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র এনামুল হক সহ ৫ জন ব্যক্তিকে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে ডেকে নেয় বাদী সুরুত আলীর বাড়িতে।
পরে তাদেরকে রশি দিয়ে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে আনার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে বাধা সৃষ্টি করে। এনিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসির সাথে বেশকিছু বাকবিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। তথ্য প্রমাণাদি ছাড়াই এনামুল ও সাদ্দামকে আটক করে থানায় আনার ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
অবশেষে তাদের নামে চুরি মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক বলেন, নিয়মিত মামলা হয়েছে। সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং নিদোষীদের যেন, আদালত পর্যন্ত না যেতে হয় সে ব্যবস্থা করা হবে।