স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
মার্কিনের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া,করিডোর, বন্দর, সমুদ্র, সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেওয়া, অর্থনীতি শিল্প,কৃষি উৎপাদন মার্কিন নির্ভর করে ফেলা, সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্ব ও অস্তিত্বকে সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেওয়ার জড়িত সরকার ও তার সাথে যুক্ত রাজনৈতিক শক্তির ষড়যন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্য বাদের সাথে সম্পাদিত সকল অসম চুক্তি বাতিল ও জনসমক্ষে প্রকাশ ও সাম্রাজ্যবাদে করাল গ্রাসের হাত থেকে দেশ রক্ষা ও গণমুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে দেশের কমিউনিস্ট বাম গণতান্ত্রিক শক্তি ব্যক্তিবর্গ শ্রেণী পেশা, সংস্কৃতিক সামাজিক শক্তির সমন্বয়েআসুন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলি।
আমেরিকার সাথে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় পার্টি অফিসের সামনে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভে কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ উক্ত আহ্বান জানান।
জেলা সম্পাদক কমরেড তসলিম উর রহমানের অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড নাজিম উদ্দিন, নারী নেত্রী কমরেড মনোয়ারা সিদ্দিকী ছবি, শহর কমিটির সম্পাদক কমরেড শেখ আলাউদ্দিন, নারী নেত্রী কমরেড রিনা আহমেদ প্রমুখ।
বিক্ষোভে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইউনুস ও তার মিত্ররা আমেরিকার সাথে মিলেমিশে দেশকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের মাটিতে আমেরিকার ঘাটি হবে। সেই ঘাটি থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আমেরিকা হামলা করবে। আর সে দেশগুলো চেয়ে চেয়ে দেখবে? দেখেন নি ইরান আমেরিকার জবাব কি ভাবে করেছিল। মানে আমাদের দেশও আক্রান্ত হবে। আমেরিকার স্বার্থ দেখতে যেয়ে আর ইউনুস ও তার মিত্রদের স্বার্থ রক্ষা করতে যেয়ে দেশকে ভয়াবহ যুদ্ধের মুখে ফেলে দিচ্ছে। দেশের মানুষ এই খেলায় পা দেবে না।
আমরা আরো দেখলাম জাতিসংঘের অধিবেশনে ইউনুস তার তিন ভাইকে সাথে নিয়ে গেলেন। ঐ যে গ্রাম বাংলায় বলে, ' ভাই খেয়ে ভাই কে দেয়, কুটুম -- শালা '। ইউনুসের এই সফর দেখে তাই মনে হচ্ছে। প্রভুর কাছে চার ভাই যাচ্ছে - প্রভূ ভাগবাটোয়ারা করে দেবে। দেশের মানুষ -- শালা। দেশে সমাধান করতে পছন্দ করে না। আগেও দেখেছি দিল্লি তে ভাগবাটোয়ারা হ'ত। এখন ওয়াশিংটন, লন্ডনে হচ্ছে। এ খেলা বন্ধ করতে দেশপ্রেমিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জনগণ কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।