নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের মণিরামপুরে সর্পদংশনে চার বছরের শিশু আজিমের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা না মেলার কারণেই শিশুটি মারা গেছে। গত রবিবার গভীর রাতে পৌরশহরের বাঁধাঘাটার একটি ভাড়া বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় আজিম ও তার বোন হালিমাকে কালাচ সাপে কামড়ায়। পরে পরিবারের লোক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডিউটিরত চিকিৎসক না পেয়ে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু আজিম মারা যায়। আজিমের মা অভিযোগ করে বলেন, “ডাক্তার পাইনি, যশোর যাওয়ার পথেই আমার জানপাখিটা উড়ে গেছে।” স্থানীয়দের একাংশও বলেন, জ্বর বা গুরুতর অসুস্থ রোগী এলেও প্রায়ই মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান "জিয়া" বলেন, “২৪ ঘণ্টা জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও সেবা মেলে না। ওষুধ থাকে তো ডাক্তার থাকেন না, ডাক্তার থাকলেও থাকে না ওষুধ।” অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ফয়েজ আহম্মেদ ফয়সাল দাবি করেছেন, ওই রাতে কোনো সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসেনি। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল এন্টিভেনম সরবরাহ করেন। তিনি আরও বলেন, “সাপে কাটা রোগীকে বিলম্ব না করে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনতে হবে এবং এর প্রতিরোধে যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্দেশ দেন।”