এস এম তাজাম্মুল, মণিরামপুরঃ
গত মাসের শেষ সপ্তাহে যশোরের মণিরামপুরে আলোচিত পরপর দুইটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। পৌরশহরের ভ্যানচালক মিন্টুকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং উপজেলার ঝাপা ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের সাবেক আ’লীগ নেতা আশরাফুলকে ধারালো চাকু দিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
দুই ঘটনায় আলাদা মামলা হয়। মিন্টু হত্যায় সাব্বির হালদার (বড় সাব্বির)কে প্রধান আসামি করে তার পরিবার মামলা দায়ের করে, যেখানে মোট ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে আশরাফুল হত্যায় সবুজ হোসেনকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আশরাফুল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন জানান, ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবুজের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রাজগঞ্জ বাজারে খেজুর গাছের পাশ থেকে হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়।
তবে ভ্যানচালক মিন্টুর হত্যার পাঁচদিন পার হলেও প্রধান আসামি সাব্বির হালদার এখনো ধরা পড়েনি। যদিও ছোট সাব্বির ও ফারুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে নিহত মিন্টুর পরিবারসহ সর্বমহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও তীব্র সমালোচনা।
এদিকে নিহত মিন্টুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা বিএনপি। সাব্বিরকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল হোসেন মিন্টুর দুই সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন— “খুনি কোনো দলের নয়, আমরা মিন্টু হত্যার প্রধান আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার দেখতে চাই।
সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মণিরামপুর সার্কেল ইমদাদুল হক বলেন, “অভিযান চলছে। সাব্বিরকে গ্রেফতারে থানা ও একাধিক টিম কাজ করছে।