
ইমরান হোসেন (কেশবপুর যশোর), প্রতিনিধি:
কেশবপুরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কেশবপুর উন্নয়ন ফোরাম ও জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন চাই কমিটির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন, শিক্ষক আব্দুস সালাম,সোহেল হাসান আইদ, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, জাহাঙ্গীর কবির মিন্টু, কবির হোসেন রিপন, বাবু হাওলাদার, মিরাজ বিশ্বাস, মিল্টন, এসএম ইমরান, ফয়সালুর জামান সাগর, বাবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত প্রায় দুই মাস কেশবপুরে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেকসহ দ্রুত নদী ও খাল খনন করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, জলাবদ্ধতার কারণে বছরে কেশবপুরবাসীকে ৪-৬ মাস পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করতে হয়। জলাবদ্ধতার থেকে পৌরবাসীকের রক্ষা করতে শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে হরিহর নদের দুই পাড় ৫ ফুট উঁচু বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। পলি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভার ড্রেনে কপাটের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে হরিহর নদের পানি ঢুকতে না পারে।
পৌরসভার আয় বাড়ানোর জন্য শহর রক্ষা বাঁধে সবুজ বনায়ন ও ফুলের গাছ রোপন হবে। হরিহর নদে শেওলা যাতে জমে থাকতে না পারে সে জন্য দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্য নদে নৌকা দিতে হবে। হরিহর নদে দু’পাড়ে শহর রক্ষা বাঁধে পার্ক হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। মনোরম পরিবেশ হলে পৌরবাসীসহ উপজেলাবাসী সেখানে ঘুরতে আসবে।
প্রয়োজনে ওই পার্ক ইজারা দিয়ে পৌরসভা আয় বৃদ্ধি করতে পারে। কেশবপুর গম পট্টি থেকে শুরু করে বাক্স পট্টি, মধুসড়ক, মাছ বাজার, পান হাটা, নারকেল হাটা, ধান হাটা বছরে ২-৩ মাস জলাবদ্ধতা থাকায় সেখানকার ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের পড়তে হয় বিপাকে। এই মুহূর্তে পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও জলাবদ্ধ এলাকায় দ্রুত ভেকু বা অন্যান্য উপায়ে পানি অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে, স্থায়ী সমাধান এবং টি.আর.এম প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।বর্ষার পূর্বে মৎস্য ঘেরে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং ভবদহ অঞ্চল ঘের আইন- ২০১৯ বাস্তবায়ন করতে হবে। জলাবদ্ধ এলাকায় ভূমিকর, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি,পানির বিল, সমিতি ও ব্যাংকের কিস্তি স্থগিতের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।