কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:
আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তিন মাস আগে খুন হয়ে যাওয়া ব্যাক্তির মৃতদেহ। ঘটনার সূত্রপাত ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অধীনে উস্তি থানার অন্তর্গত হরিহর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একটি প্রণয়ঘটিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তি হাবিবুল্লাহ খাঁন ও তার প্রেমিকা তনুজা বিবি মিলে খুন করে মহসিন হালদার কে।এই মহাসিন হালদার তনুজা বিবি স্বামী। কিন্তু তনুজা বিবির সাথে তার প্রেমিকা দীর্ঘ দিন ধরে পরকিয়া লিপ্ত ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে তারা প্লান করে খুন করে তনুজা বিবি র স্বামীকে। এবং তার দেহ কে একটি জঙ্গলে গিয়ে মাটিতে চাপা রাখে।এর পর তনুজা বিবি স্বামী নিখোঁজ হয়েছে বলে উস্তি থানাতে নিখোঁজ অভিযোগ করেন।এর পর তদন্ত করে তনুজা বিবি র ছেলে কে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে যে তার মায়ের সাথে হাবিবুল্লাহ খাঁন সম্পর্ক রয়েছে। এবং পরকিয়া তে জড়িয়ে আছে।এর পর তদন্ত করতে উঠেপড়ে নামেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল শ্রী মিতুন কুমার দে। তিনি নির্দেশ দেন যে এই ঘটনা ঘটেছে তার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করতে হবে।
এর পর হরিহর পুর গ্রাম এর অদূরে একটি বাগান থেকে তনুজা বিবি র স্বামীর মৃত দেহ উদ্ধার করে। এবং মৃত দেহ এতটাই পচে গিয়েছে যে হাড় গোড় ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় নি। ঘটনার পর তনুজা বিবি ও তার প্রেমিকা হাবিবুল্লাহ খাঁন কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যাক্তিদের আজ ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের আদালতে তোলা হলে তাদের কে আট দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্ত কাজে সাহায্য করেছে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ সাহেব এবং মগরাহাট থানা ও উস্তি থানার সার্কেল চীফ অফিসার ইনচার্জ শ্রী রাজু সোনকার এবং উস্তি থানার ওসি আব্দুল মারজান এবং উস্তি থানার পিসি অফিসার শ্রী উপেন মিশ্র।