
কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:
গতকাল দিল্লীর মৌসম ভবন থেকে আগাম সতর্কতা জারি হিসেবে বলা হয়েছিল যে আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হতে চলেছে।এর প্রভাবে ভাসতে পারে বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকায় মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া এবং হুগলি এবং হাওড়া নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং কলকাতার বহু যায়গা।
গতকাল কাল রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। বিশেষ করে কলকাতার পার্ক ট্রিট ও শিয়ালদ এবং ক্যামাক স্ট্রিট ও বৌবাজার এবং কলেজ স্ট্রিট ও বৌবাজার এবং ধর্মতলা এবং রুবি মোড় এবং মেয়ো রোড এবং বর্মন রোডের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।এর ফলে যানবাহন চলাচল অসুবিধা মধ্যে পড়েছে। পরিস্তিতি মোকাবেলা করতে সবধরনের সহযোগিতা করছেন কলকাতা পৌরসভা ও কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই বহু যায়গায় জলের পাম্পের সাহায্যে জল বের করে হুগলি নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলা বিভিন্ন জেলায় থেকে বন্যার খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকায়। সেখানে বহু মানুষের ঘরবাড়ি জলের তলায়। এবং রাস্তা ঘাট এবং সবুজ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই বহু যায়গায় ত্রাণ ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ এবং ত্রিপল ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবধরনের ব্যাবস্থা নেবার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত বহু যায়গায় নদী ও বাঁধ ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাধারণত মানুষের যোগাযোগ রাখতে সবধরনের সহযোগিতা কামনা করেছেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ। তিনি ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষদের খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা সহ কলকাতার আশেপাশের এলাকায়। গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে জেলেদের। পরিস্তিতি র উপর নজর রাখতে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিতরণ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বাহিনীর সদস্যদের সজাগ থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।